আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র যেন কোনোভাবেই নাশকতা করে দেশের অব্যাহত উন্নয়নের ধারা ব্যাহত করতে না পারে সেই জন্যই আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী শান্তি সমাবেশ করছে।
তিনি বলেন, মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান মিথ্যাচার করেছেন, তা প্রমাণিতও হয়েছে। আদালতে তার শাস্তি হয়েছে। বিএনপির মির্জা ফখরুল সাহেবরা মিথ্যাচার করে অভ্যস্ত বলেই মিথ্যাচারের পক্ষ নিচ্ছেন। স্বাধীনতাবিরোধী কোনো ব্যক্তির বিচার হলেই বিএনপির আঁতে ঘা লাগে।
১৬ সেপ্টেম্বর, শনিবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া কুষ্টিয়ার কৃতি শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কথা স্বীকার করে হানিফ বলেন, সরকার তা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এছাড়াও দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করার বিভিন্ন কর্মসূচির কথা তুলে ধরে বলেন, মহামারি করোনা ও রাশিয়া যুদ্ধের কারণে ৩ বছর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ যুদ্ধের কারণে শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্বের অনেক জায়গায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করে। সরকারের পক্ষ থেকে ওএমএস প্রাইজ কার্ডের মাধ্যমে সুযোগ, দেওয়া হচ্ছে টিসিবি মাধ্যমে সহযোগিতাসহ ৪ কোটি মানুষকে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যা অচিরেই দ্রব্যমূল্য সাধারণ জনগণের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
হানিফ আরও বলেন, বিএনপি আইনের শাসনের প্রতি আস্থা বা বিশ্বাস নেই। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা হত্যার বিচার বিএনপি করেনি। সে কারণে যেকোনো অন্যায় অপরাধের বিচার হলেই বিএনপি মনে করে এটি সঠিক হয়নি। স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচার হলে বিএনপির আঁতে ঘা লাগে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৩ সালে ৫ মে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য হেফাজত ও বিএনপির কর্মীরা ঢাকার শাপলা চত্বরে আগুনের তাণ্ডব চালিয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার সাথে তাদের বিরূদ্ধে একশন নিলে ১০ মিনিটের ভিতর হেফাজত কর্মীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যাচার করে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ৬১ জন নিহতের তালিকা দিয়েছিলেন মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান। সেটা বিদেশি ও বাংলাদেশের কিছু মিডিয়াতে প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে দেখা যায় ৬১ জন হেফাজতকর্মী বেঁচে আছেন। মিথ্যাচার করায় মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমানের তথ্য মিথ্যা হওয়ায় আদালত তাকে সাজা দিয়েছেন।
এসময় কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, সোহান’স এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মো. নাহিদুল ইসলাম সোহানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং কৃতি শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিবার্তা/শরীফুল/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]