শীতের মৌসুম আসতেই কাঞ্চনজঙ্ঘার ডাকে ছুটছে পর্যটক
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৩১
শীতের মৌসুম আসতেই কাঞ্চনজঙ্ঘার ডাকে ছুটছে পর্যটক
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

মোহনীয় রূপে আচ্ছাদিত কাঞ্চনজঙ্ঘা ক্ষণে ক্ষণে বদলায় রঙ। ভোরে সূর্যোদয়ের সময় মনে হয় যেন কাঞ্চনজঙ্ঘা সাদা বরফে ছেয়ে গেছে। বেলা বাড়লে আবার সেই রূপ বদলায়। দিনের মধ্যভাগে মনে হয় প্রকাণ্ড মেঘ উত্তরের আকাশ দখল করে দাঁড়িয়ে আছে।


বিকেলের কাঞ্চনজঙ্ঘা যেন লজ্জারাঙা। আর গোধূলিবেলায় পুরো কাঞ্চনজঙ্ঘা আবির খেলায় মেতে ওঠে।


শীত মৌসুম শুরুর আগ মুহূর্তে উত্তরের মেঘমুক্ত আকাশে খালি চোখে দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘার মোহনীয় সৌন্দর্য। এই সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ছুটছেন হাজারও পর্যটক। পর্যটকের সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠেছে উত্তরের এ জেলার পর্যটন স্পটগুলো।


প্রতিবছর কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পর্যটকেরা পাড়ি জমান হিমালয়ের দেশ নেপালে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের টাইগার হিলে দাঁড়িয়ে অপরূপ কাঞ্চনজঙ্ঘায় মুগ্ধ হন পর্যটকেরা। কেউ একেবারে কাছ থেকে দেখতে নেপালেই ছুটে যান।


কাঞ্চনজঙ্ঘা ছাড়াও জেলার পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখছেন পর্যটকরা। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর, ইমিগ্রেশন ও জিরো পয়েন্ট, বিজিবি-বিএসফের জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনি, ইংরেজ আমলে জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, সমতল ভূমির চা বাগান, আনন্দধারা পার্ক, ভিতরগড় দূর্গনগরী, মহারাজা দিঘী, পাথরের জাদুঘর, মোগল স্থাপনা মির্জাপুর শাহী মসজিদ, বোদেশ্বরী পীঠ মন্দিরসব বিভিন্ন ঐতিহ্য ও দর্শনীয় স্থানগুলো মুগ্ধ করছে পর্যটকদের।


পঞ্চগড় ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের অফিসার ইনচার্জ মো.সাজেদুর রহমান বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব পর্যটক আমাদের এখানে আসেন তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত পর্যটনস্পট ডাকবাংলো পিকনিক কর্ণারে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা থাকে। আমরা নতুনভাবে উদ্যোগ নিয়েছি কোন পর্যটক যেন স্থানীয় কিংবা দুস্কৃতিকারী দ্বারা হয়রানি শিকার না হন, তার জন্য আমরা হেল্প ডেস্ক তৈরি করবো। এটি স্থানীয়দের সহযোগিতা নেয়া হবে। পর্যটকরা সমস্যা তুলে ধরতে পারবেন। আমরা তা নিরসন ও নিরাপত্তা প্রদানে তৎপর রয়েছি।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে রাব্বী বলেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে হেমন্ত-শীতের সময়ে দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। এই সময়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা চমৎকার দেখা যায়। সেই সঙ্গে পঞ্চগড়ের সমতলের চা শিল্পসহ অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। পর্যটকরা যেন নির্বিঘ্নে ভ্রমণ উপভোগ করতে পারেন সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া পর্যটকদের থাকার জন্য তেঁতুলিয়া ডাক বাংলোতে পুরনো দুটি ভবনের পাশাপাশি বেরং কমপ্লেক্স নামে নতুন আরেকটি বাংলো নির্মাণ করা হয়েছে। আশা করি পর্যটকরা পঞ্চগড়ে তাদের ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com