কক্সবাজারের পরিচিত পর্যটন স্পট হিমছড়ি। দৃষ্টিনন্দন ঝরনা, সুউচ্চ পাহাড়চূড়া থেকে সাগরের বিশালতা দেখে বিমুগ্ধ হন পর্যটকরা। মেরিন ড্রাইভের রামুর হিমছড়ির এ পর্যটন স্পটকে আরো আকর্ষণীয় ও পর্যটন বিকাশে আরো নতুন উদ্যোগ নিয়েছে তদারকি সংস্থা কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ।
হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানের অধীনে মেরিন ড্রাইভের হিমছড়িতে ঢুকতেই পূর্বদিকে গড়ে তোলা হচ্ছে পাহাড়ের পাদদেশ ঘেঁষে দৃষ্টিনন্দন পার্ক (নতুন পর্যটন স্পট)।
মেরিন ড্রাইভের পশ্চিমে বিশাল সমুদ্রের ঢেউ পূর্ব পাশে কৃত্রিম লেক, ক্যাকটাস, অর্কিডসহ নানান সবুজ গাছে ঘেরা সবুজ প্রকৃতি ভ্রমণপ্রেমীদের বিমোহিত করবে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের হিমছড়ি বিট ও টহল ফাঁড়ি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ কামরুজ্জামান শোভন জানান, বনবিভাগের এই জায়গাটি কলাতলী ও হিমছড়ি মধ্যবর্তী। সড়কের পাশে একসময় পরিত্যক্ত প্রায় ৬ একর জায়গা নিয়ে পর্যটকদের জন্য অর্কিড ও ক্যাকটাস হাউস, পাবলিক টয়লেট করা হয়েছে।
নতুন পর্যটন স্পটে পিকনিক পার্টি এলে রান্নার সুব্যবস্থাসহ সব ধরনের সুবিধায় পূর্ণ বিনোদন স্থান করা হচ্ছে এটি। নতুন পার্কের বাউন্ডারি, বিশাল গেইট সম্পন্ন হয়েছে। পার্কের ভেতরে ঢুকলেই নজরে আসে সুউচ্চ পাহাড়চূড়া। এর পাদদেশে দক্ষিণে আছে আঁকাবাঁকা লেক।
লেকের চারপাশে হাটা ও বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখানে বসেই সুশীতল হওয়ায় পর্যটকরা প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন। পরিবেশ প্রেমিদের জন্য গড়া হচ্ছে ক্যাকটাস ও অর্কিড় হাউস। এ দুটি হাউসে থাকবে বিলুপ্ত প্রায় বিভিন্ন প্রজাতির ক্যাকটাস ও অর্কিড।
নারী-পুরুষদের জন্য আলাদা অত্যাধুনিক টয়লেট গড়ার পাশাপাশি লাগানো হয়েছে কৃষ্ণচূড়া, রাধাঁচুড়া, জারুল, পলাশ, স্যাতকাঞ্চন, গর্জন, তৈলসুর, গামারী, ঝাউ, বকুলফুল, সেগুনসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।
হিমছড়ি বন সহব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান বলেন, ‘হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান গড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো- গবেষণা ও শিক্ষণ, পর্যটন ও বিনোদন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ। এ রক্ষিত বনাঞ্চলে হাতিসহ মায়া হরিণ, বন্যশূকর ও বানরের দেখা মেলে।’
আছে বিভিন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী, পাখি, সরীসৃপ ও উভচর প্রাণী। হিমছড়ি বনাঞ্চল উল্লুকের আবাসস্থল। পাখিপ্রেমীদের জন্য হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান একটি আদর্শ স্থান। বিভিন্ন প্রজাতির পাখির মধ্যে ময়না, ফিঙ্গে ও তাল বাতাসি উল্লেখযোগ্য।
এখানকার পাহাড়ের পাদদেশে লেকটি সব থেকে আকর্ষণীয় হবে। এ লেকে পর্যটকরা প্যাডেল চালিত বোট নিয়ে ঘুরার ব্যবস্থা থাকছে। তিনি আরও জানান, এখানে বনবিভাগের জন্য প্রটেক্টেড এরিয়া ম্যানেজমেন্ট সেন্টার বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করা হবে। সুন্দর একটি স্পটে বনবিভাগের প্রশিক্ষনার্থীরা যেন প্রশিক্ষণ নিতে পারে।
সরকারি ফি দিয়ে এই সেন্টারের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে সবাই। আর তাতে একদিকে যেমন পর্যটন উন্নয়নে সহায়ক হবে তেমনি রাজস্বখাতও সমৃদ্ধ হবে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]