বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের কারণে উত্তাল থাকায় তিনদিন ধরে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এতে সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণে গিয়ে তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়ে খাবার সংকটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বৈরী আবহাওয়া ও সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে মাছ ধরাও বন্ধ রয়েছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পরীক্ষামূলক বার আউলিয়া নামের পর্যটকবাহী একটি জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। এই জাহাজে করে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে পর্যটকরা সেন্ট মার্টিনে আসা-যাওয়া করে।
এর মধ্যে বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত শনি ও রোববার জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। এই দুইদিন দ্বীপে দুই শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছিল। গত সোম ও মঙ্গলবার দুইদিন চলাচলের পর আবারও নৌযান বন্ধ রয়েছে।
কুমিল্লার মুরাদ নগর থেকে সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে এসে গত ৩ অক্টোবর থেকে আটকা পড়েছেন আরাফাত হোসেন ও তার পাঁচ বন্ধু।
আরাফাত হোসেন বলেন, ডাল, আলুভর্তা দিয়ে কোনো মতে ভাত খাচ্ছি। ভালোভাবে খেতে না পারলেও ঘোরাঘুরি করে দিন কাটছে। আমাদের মতো অন্তত তিন শতাধিক পর্যটক গত সব ধরনের ধরে খাবার-দাবার নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, নিত্যপণ্যের সংকট যেন না হয় সে জন্য দ্বীপে পণ্যবাহী ট্রলার যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো যাত্রী বহন করা যাবে না। অবশ্যই আটকে পড়া পর্যটকদের দেখভাল করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আদনান চৌধুরী বলেন, বৈরী আবহাওয়া ও সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। পাশাপাশি আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে উপকূলের নৌযান সমূহকে সাবধানে চলাচল করতে নির্দেশনা দিয়েছে।
ইউএনও বলেন, আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেন্ট মার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]