তামাকপণ্যের প্যাকেটে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ আই্নসম্মতভাবে বাস্তবায়নের দাবিতে বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে মানববন্ধন করেছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, এসিডি, ইপসা, প্রত্যাশা, এইড ফাউন্ডেশন, উবিনীগ, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, বিসিসিপি, টিসিআরসি, প্রজ্ঞাসহ বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠন। এতে বক্তব্য রাখে হেলাল আহমেদ, সৈয়দা অনন্যা রহমান, আমিনুল ইসলাম বকুল, শাহীদা আক্তার, বজলুর রহমান, নাজমুল হায়দার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আইনানুগ বাস্তবায়ন আবারও ভেস্তে যেতে বসেছে। রাজস্ব হ্রাসের হুমকি দিয়ে সিগারেট কোম্পানিগুলো গত বছর যেমন এনবিআরকে তাদের পক্ষে এনেছিল, এবারও সেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সিগারেট কোম্পানির মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ (এমডি) একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী ছাড়াও বাণিজ্যমন্ত্রী, এনবিআর চেয়ারম্যানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড স্ব-উদ্যোগে সিগারেট কোম্পানিসহ, আইন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং এনটিসিসি’র প্রতিনিধি নিয়ে ১০ আগস্ট বিকাল ৩টায় একটি বৈঠকের আয়োজন করেছে। অথচ এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ ধারা অনুযায়ী, তামাক নিয়ন্ত্রণের যেকোনো পলিসি বাস্তবায়নে তামাক কোম্পানির সাথে আলোচনার সুযোগ নেই।

তারা বলেন, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর হতে সকল তামাকজাত পণ্যের প্যাকেটে উপরের অংশে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ বাধ্যতামূলক মর্মে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করলে এর বিরোধিতা করে বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ) সম্প্রতি এনবিআর একটি চিঠি দিয়ে আবারও ব্যান্ড রোল বা স্ট্যাম্পের দোহাই দিয়ে প্যাকেটের নিম্নভাগে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে।

বক্তারা বলেন, সিগারেটের প্যাকেটের সামনে/পিছনের পরিবর্তে পার্শ্বদেশে লম্বালম্বিভাবে স্ট্যাম্প বা ব্যান্ডরোল লাগিয়ে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। এতে একদিকে ২০১৭ সালের স্ট্যাম্প বা ব্যান্ডরোল নির্দেশনাও প্রতিপালন হবে অন্যদিকে ২০১৩ সালের আইন ও ২০১৫ সালের বিধিমালার বিধান প্রতিপালন করে প্যাকেটের উভয়পাশে উপরিভাগে ৫০% স্থানজুড়ে ছবিযুক্ত সতর্কবাণী অক্ষত (স্ট্যাম্প বা ব্যান্ডরোলে ঢেকে যাওয়া থেকে) রাখা সম্ভবপর হবে। কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পার্শ্বদেশে স্ট্যাম্প লাগানোর বিধান প্রচলিত রয়েছে।

মানববন্ধনকারীরা পরে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী