শিরোনাম
তামাকপণ্যে স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণের চিত্র হতাশাজনক
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০১৭, ১৮:৪৩
তামাকপণ্যে  স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণের  চিত্র হতাশাজনক
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আইন বাস্তবায়নের আট মাস পেরিয়ে গেলেও ৫১% তামাকপণ্যেই শতভাগ আইন মেনে সচিত্র সতর্কবাণী মুদ্রণ করা হয়নি। বিড়িতে ১০০ শতাংশ (৬০টি), জর্দায় ৯৬.৪ শতাংশ (৪৫৬টি), গুল -এ ৭৫.৮৬ শতাংশ (৪৪টি) এবং সিগারেটে ২০.৮৮ শতাংশ (১৮৫টি) ক্ষেত্রেই শতভাগ আইন মেনে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়ন করা হয়নি। ৯২% তামাকপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সচিত্র সতর্কবাণী মুদ্রণ সংক্রান্ত শতভাগ কমপ্লায়েন্স অনুসরণ না করেই তামাকপণ্য বিক্রয় করছে। ১৯.২% (৩৫০) তামাকপণ্যের প্যাকেটে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী নেই।


তামাকবিরোধী সংগঠনসমূহের পক্ষে প্রজ্ঞা, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, এসিডি, ইপসা এবং সীমান্তিক 'তামাকপণ্যে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়ন বিষয়ক কমপ্লায়েন্স সার্ভে ফলাফল প্রকাশ' উপলক্ষ্যে রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করে।


এ সময় বলা হয়, গবেষণায় প্রাপ্ত ৪৪টি ব্রান্ডের সিগারেটের মধ্যে ৩৫টি এবং ১৭টি ব্রান্ডের বিড়ির মধ্যে ১২টি ব্রান্ডের বিড়ির প্যাকেট পূর্ববর্তী পর্বের ছবিসহ বাজারে পাওয়া গেছে। ৪০.২% জর্দা কৌটায় এবং ২৩.৭% গুল কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী পাওয়া যায়নি। ৯১.৭% বিড়ির প্যাকেট, ৮৫.২% জর্দা এবং ৪২% গুল কৌটায় সতর্কবাণী সঠিক স্থানে মুদ্রণ করা হয়নি।


সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গবেষণায় আরো দেখা গেছে, তামাকপণ্যে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ যে বাধ্যতামূলক, ৩১% বিক্রেতা তা জানেনই না।।


গবেষণায় ৮টি বিভাগীয় শহরের ১২০টি দোকানে তিন ধরনের তামাক (ক. সিগারেট খ. বিড়ি ও স্বল্পমূল্যের সিগারেট গ. ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য) বিক্রেতার কাছ থেকে মোট ১,৮২৭টি তামাকপণ্যের প্যাকেট/কৌটা উপর তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয় ।


সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সার্বিকভাবে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বাস্তবায়নের চিত্র হতাশাজনক। তবে শক্তিশালী সরকারি নজরদারির মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার এই কার্যকর হাতিয়ার সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে তা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


সংবাদ সম্মেলনে তামাক কোম্পানিগুলোকে প্যাকেট বা কৌটার অন্যূন ৫০ ভাগ স্থানজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণে বাধ্য করা; সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী যেন আইনসম্মত উপায়ে মুদ্রণ করা হয় তা নিশ্চিত করা; আইন লঙ্ঘনকারী তামাক কোম্পানিগুলোকে জরিমানা করা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীবিহীন ও আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে এমন তামাকপণ্য ধ্বংস এবং বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রভৃতি সুপারিশ করা হয়।


সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন প্রজ্ঞার কোঅর্ডিনেটর হাসান শাহরিয়ার। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব:) আব্দুল মালিক, মুহাম্মদ রূহুল কুদ্দুস (যুগ্ম-সচিব এবং সমন্বয়কারী, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়); ডা. মাহফুজুল হক ভুঁঞা (গ্রান্টস ম্যানেজার, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্স); এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, মো: শফিকুল ইসলাম (বাংলাদেশ কান্ট্রি এডভাইজার, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস), ফরিদা আখতার (নির্বাহী পরিচালক, উবিনীগ) এবং এন্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্সের (আত্ম) কো-কনভেনর নাদিরা কিরন।


বিবার্তা/মৌসুমী/হুমায়ুন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com