প্রায় অর্ধেক মানুষ কোনো না কোনো মানসিক রোগে ভুগছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে।
৩৪৭ জনকে নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে ১৬৮ জন (৪৮.৪ শতাংশ) কোনো না কোনো মানসিক রোগে ভুগছেন। এদের মধ্যে ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪৫ দশমিক ২ শতাংশ নারী।
১৪ অক্টোবর, শনিবার বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। গবেষণায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ও সার্জারি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি রোগীদের মধ্যে মানসিক রোগের এ হার দেখা গেছে।
বিএসএমএমইউর গবেষণায় বলা হয়েছে, গত বছর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসকে উপলক্ষ্য করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের পক্ষ থেকে একটি গবেষণা চালানো হয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ও সার্জারি অনুষদের ২৯টি বিভাগে ভর্তি রোগীদের মধ্যে মানসিক রোগের হার দেখা হয়। সেখানে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগে ভোগা রোগীদের মধ্যে ৩৩.৩ শতাংশের বয়স ৫১-৬৫ বছর এবং ১৯ শতাংশের বয়স ৩১-৪০ বছর।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, রোগীদের মধ্যে ১৭.৩ শতাংশ বিভিন্ন রকম মানসিক রোগের ওষুধ সেবন করছেন। মেডিসিন ও সার্জারি অনুষদের অধিভুক্ত বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি রোগীদের মধ্যে যথাক্রমে ৫৫.৩ শতাংশ এবং ৩৯.৩ শতাংশ রোগীর বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যা রয়েছে।
এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক (৪৮.৪ শতাংশ) কোনো না কোনো মানসিক রোগে ভুগছেন। এদের মধ্যে ১.৭ শতাংশ রোগীকে মানসিক চিকিৎসার জন্য অন্য বিভাগ থেকে মনোরোগবিদ্যা বিভাগে পাঠানো হয়। ৭.৮ শতাংশ রোগী তাদের রোগ সম্পর্কে জানেন এবং ১৭.৩ শতাংশ রোগী বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগের ওষুধ খেয়ে আসছেন। মেডিসিন অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি রোগীদের ৬৫ শতাংশের মধ্যে মানসিক রোগ শনাক্ত করা গেছে।
সার্জারি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি রোগীদের মধ্যে মানসিক রোগীর হার ৩৫ শতাংশ।
বিএসএমএমইউর পক্ষ থেকে বলা হয়, এ গবেষণা সব ধরনের মানসিক রোগে ভোগা রোগীদের উপযুক্ত সাইকিয়াট্রিক সেবা পেতে সহায়তা করবে এবং অন্যান্য বিভাগের চিকিৎসকদের মানসিক রোগীদের মনোরোগবিদ্যা বিভাগে রেফার্ড করতে উদ্বুদ্ধ করবে।
বিবার্তা/রিয়াদ/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]