পালিত হলো শিশু সপ্তাহ; নেই কার্যকরী উদ্যোগ!
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ২২:৫৫
পালিত হলো শিশু সপ্তাহ; নেই কার্যকরী উদ্যোগ!
এস এম রিয়াদ রহমান
প্রিন্ট অ-অ+

বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষ্যে শিশু অধিকার সপ্তাহের নানা সেশনে মতামত জানানোর সুযোগ মিলেছে অনেক শিশুর। বড়রা শিশুদের কথা শুনেছেন, দিয়েছেন উত্তরও। অপরদিকে, এই বিষয়টিই অনেকের কাছে হাস্যরসের, যেন মঞ্চায়িত হচ্ছে চমকপ্রদ কোনো নাটক! একটু ভাবুন তো, কেন?



জীবনে বাস্তবতার কষাঘাত সম্পর্কে ধারণা লাভ করার দুর্ভাগ্য হয়নি এমন অনেক শিশু যখন তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে ১০ বছর বয়সী মো. শিশির হাসান রাজধানীর একটি গণপরিবহনে হেলপারি করছে। তার কথা তো কেউ শুনছেই না, উল্টো বড়রা যে যার মতো আচরণ করছেন। যে বয়সে তার বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা, সে বয়সে পরিবারের হাল ধরতে নেমেছেন জীবনযুদ্ধে।



শুধু শিশির নয়। রাজধানীসহ সারাদেশে শিশিরের মতো হাজারও শিশু অধিকার বঞ্চিত হয়ে, অযত্ন-অবহেলায় বা দারিদ্রের নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়ে পারিবারিক ও সামাজিক অধিকার, মূল কথা শিশু হিসেবে সমাজে তার যা অধিকার তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।


বিশ্লেষকরা বলছেন, শিশু অধিকার নিয়ে কাজ কেবল কাগজে-কলমে, বাস্তবে এর কোনো প্রয়োগ নেই। শিশু দিবস বা শিশু অধিকার সপ্তাহের আয়োজন কেবল লিফলেট, পোস্টার, আলোচনা আর চা-নাস্তায়।বাংলাদেশের অগুণিত শিশু পথে ঘুমায়, খেতে পায় না, পড়াশোনায় নেই, ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে, কিন্তু এ নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেই।



'বিশ্ব শিশু দিবস’ উপলক্ষ্যে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিশু একাডেমি ২ থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত শিশু অধিকার সপ্তাহ পালন করেছে। শিশুর অধিকার, সুরক্ষা এবং শিশুর উন্নয়ন ও বিকাশে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অধিকতর উদ্যোগী ও সচেতন করার লক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এ বছরও দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচি শিশুদের অধিকার রক্ষায় কতটুকু কার্যকর, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।


১৯২৪ সালে জেনেভায় এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শিশুদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য ‘শিশু অধিকার’ ঘোষণা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫৯ সালে জাতিসংঘে শিশু অধিকার সনদ ঘোষণা করা হয়। এই সনদে স্বাক্ষর করা দেশগুলোর একটি হলো বাংলাদেশ।




জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের জন্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করেন। জাতিসংঘ ১৯৮৯ সালে শিশু অধিকার সনদ ঘোষণার ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে তিনি শিশুদের অধিকার সুরক্ষার জন্য শিশু আইনও প্রণয়ন করেছিলেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে শিশুর শিক্ষা, সুরক্ষা ও উন্নয়নে নিয়েছিলেন কল্যাণকর বিভিন্ন পদক্ষেপ। কিন্তু শিশু অধিকারের ঠিক কতটা বাস্তবায়িত হচ্ছে দেশে?



এ নিয়ে শিশু অধিকার ফোরামের সাবেক পরিচালক আব্দুস শহিদ মোহাম্মদ বিবার্তাকে বলেন, শিশু অধিকার নিয়ে কাগজে-পত্রে অনেক কিছু আছে, আইনেও আছে। কিন্তু বাস্তবে তো সেরকম নাই। জাতিসংঘের যে শিশু অধিকার সনদ। বাংলাদেশে একদম শুরু থেকেই ছিল। জাতিসংঘে যখন প্রথম ভোটের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তখন প্রথম যে কয়েকটি দেশ স্বাক্ষর করেছিল তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। কিন্তু এটা হলো জাতিসংঘের সনদ, এই সনদ বাংলাদেশ রেটিফাই করেছে। রেটিফিকেশনের অর্থ হলো এই সনদে যেসব শিশু অধিকারের কথা বলা আছে, তা আমি আমার দেশে মানবো এবং তার আলোকে আইনও করব। ১৯৭৪ সালে শিশু আইন করা হলো। তখনকার সময় অনুযায়ী সেটা ঠিক আছে। কিন্তু পরবর্তীতে এটাতে অনেক ভুল-ত্রুটি ধরা পড়ল। পরে ২০১৩ সালে আরেকটি শিশু আইন করা হলো। এই আইন আগের আইনের থেকে অনেক ভালো, সময় উপযোগী বেশকিছু আছে এর মধ্যে। কিন্তু শিশুদের অধিকার কাগজে-কলমে আছে, ডকুমেন্টে আছে। বাস্তবে তো আমরা চিত্রটা দেখি একেবারে ভিন্ন।


তিনি বলেন, শিশু ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটে আমাদের দেশে, এই সংখ্যাটা তো একেবারে কম না, অনেক বেশি এবং প্রতি বছর এটা ক্রমেই বাড়ে। যারা ধর্ষক তাদের কতজনের বিচার হয়েছে, কতজনের শাস্তি হয়েছে। স্পষ্ট আইনে বলা আছে কী শাস্তি হবে, কিন্তু কোনো শাস্তি কি হয়েছে? উল্টো ধর্ষণের শিকার শিশুর পরিবারকে গ্রামছাড়া করা হয়, এলাকাছাড়া হয়ে যায়। এসব হচ্ছে প্রভাবশালীদের কারণে। তাদের তো আইন রক্ষা করতে পারে না, আইনে তো শাস্তির কথা বলা আছে।


বাংলাদেশের রাজপথে এখনও অনেক পথশিশু আছে জানিয়ে আব্দুস শহিদ মোহাম্মদ বলেন, সরকার তো বলে, রাস্তায় কোনো শিশু দেখতে চাই না। কিন্তু এটা তো মুখের কথা বাস্তবতায় তো হাজার হাজার শিশু শুধু ঢাকা শহরেই ঘুরে।



শিশু অধিকার ফোরামের সাবেক পরিচালক বলেন, আমাদের দেশে শিশুদের অধিকার তো তেমন নেই, আবার শিশুরা জড়িয়ে পড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে। কিন্তু কাগজে-পত্রে একদম হিসাব ঠিক আছে, হিসাব পাকা।



যারা দেখার, যারা হিসাব করার বা যারা এসব কাজ অডিট করেন সরকারি লোক তারাই টাকা খেয়ে বসে আছেন। তারা সরজমিনে না গিয়ে না দেখে তারপর বলবে যে, না সব ঠিক আছে। ছোটোখাটো দু’একটা ভুল দেখায়। কারণ দেখাইতে হবে তো যে আপনি পরবর্তীতে এটা ঠিক করে আনবেন।



একদম উপর থেকে নিচ পর্যন্ত টাকা খেয়ে এভাবেই চলছে! কে কাকে ধরবে বলেন? এই যদি অবস্থা হয় তাহলে এ দেশে শিশুরা তাদের অধিকার কীভাবে পাবে?


এমন প্রশ্ন রেখে আব্দুস শহিদ মোহাম্মদ বলেন, যারা পথশিশু বা যেকোনো শিশুই হোক তাদের তো ভয়েজ নেই। আপনার ভয়েজ আছে, আমার ভয়েজ আছে, আপনি-আমি কিছু বলতে পারি। শিশুরা তো তাদের কথা বলতে পারে না, তাদের সমস্যাগুলো বোঝাতে পারে না। আর তারা তো অরগানাইজড না। যেহেতু দেশটি আপনার আমার সবার, তাই যার যার অবস্থান থেকে যে যেভাবে পারব এ দেশের প্রতিটি শিশুর অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে।


তিনি বলেন, দেশে শিশু অধিকারের অবস্থা মোটের ওপর ভালো না। একটা দিবস পালন করা মানে কিছু লিফলেট, কিছু পোস্টার, কিছু আলোচনা, কিছু চা-নাস্তা অর্থাৎ এসবের মাধ্যমে শিশু অধিকার দিবস পালন করা হচ্ছে। বছরের পর বছর এভাবেই চলছে। এসব করে কোনো লাভ নেই!


আব্দুস শহিদ মোহাম্মদ আরও বলেন, শিশু একাডেমির সকল জেলায় কার্যক্রম রয়েছে। তারা চাইলে শিশুদের জন্য অনেক কিছু করতে পারত, এখনও পারে। তারা সাংস্কৃতিক চর্চা, ছবি আঁকা, গান-বাজনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে। এসব অনুষ্ঠানে কারা যায়, যারা ধনী পরিবারের বা উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়ে তারা যায়। কিন্তু আমাদের দেশের সুবিধাবঞ্চিত পিছিয়ে পড়া পথশিশু, বস্তির শিশু এই ধরনের শিশুদের জন্য কিছু করতে হবে। এদের সংখ্যা অনেক বেশি এবং এদের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়ে চলছে। এভাবে চলতে থাকলে এই সংখ্যা একসময় দেশের জন্য, সমাজের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তাই এদেরকে ন্যূনতম অধিকার দিতে হবে।


জানা যায়, বাংলাদেশে ছয় লাখের বেশি পথশিশু বসবাস করছে এবং এদের ৭৫ ভাগই রাজধানী ঢাকায় বসবাস করে। মানব উন্নয়ন সূচকে ১৩৮তম স্থানে থাকা একটি দেশ, যেখানে জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে সেখানে এই শিশুরা সামাজিক স্তরগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরের প্রতিনিধিত্ব করে।



আশঙ্কাজনক হারে বাংলাদেশে বেড়ে চলেছে পথশিশুর সংখ্যা। এদের বেশির ভাগই অপুষ্টি, যৌনরোগ ও মাদকের নেশায় আক্রান্ত। মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পথশিশু।



বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্য মতে, পথশিশুদের ৮৫ ভাগই কোনো না কোনোভাবে মাদক সেবন করে। এর মধ্যে ১৯ শতাংশ হেরোইন, ৪৪ শতাংশ ধূমপান, ২৮ শতাংশ বিভিন্ন ট্যাবলেট ও আট শতাংশ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে নেশা করে থাকে।


জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মতে, ঢাকা বিভাগে মাদকাসক্ত শিশুর প্রায় ৩০ শতাংশ ছেলে এবং ১৭ শতাংশ মেয়ে। মাদকাসক্ত ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী ছেলে এবং মেয়ে শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রচণ্ড ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।


এদিকে, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের সহকারী সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ বিবার্তাকে বলেন, আমাদের পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র আছে, শিশুদের নিয়ে আমাদের সাঁতার প্রশিক্ষণ আছে, গর্ভকালীন মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি রয়েছে। দেশের সকল জেলায় শিশু একাডেমি আছে, আমাদের শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটানো হয়।



তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র কার্যক্রম চলমান। এর দুটি সেন্টার যথাক্রমে কারওয়ান বাজার ও কমলাপুর আছে। আবার এর ৯টি আউট থিথিস স্কুল রয়েছে, যেখানে শিক্ষা দান করা হয়। এখানে আমাদের আশি আশি করে ১৬০ জন শিক্ষার্থী আছে। যারা পথে-ঘাটে থাকে, পথশিশু।


শিশুদের জন্য আলাদা শিশু একাডেমি আইন হয়েছে, এখনও এটি কার্যকর হয়নি বলে জানান আবুল কালাম আজাদ।


বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম বিবার্তাকে বলেন, ২ অক্টোবর বিশ্ব শিশু দিবস ছিল। এটা প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান, তিনি সবসময় শিশু দিবসে আসেন। এবার তিনি আমেরিকা থাকার কারণে আসতে পারেননি। ২ অক্টোবর থেকে আজ ৮ অক্টোবর পর্যন্ত শিশু অধিকার সপ্তাহের নানা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।


তিনি বলেন, ছোটদের জন্য একটি বিশেষ আয়োজন ছিল- ছোটরা বলবে বড়রা শুনবে। আমরা একজন শিশু বিশেষজ্ঞ নিয়ে এসেছি। বিটিভিসহ মিডিয়া শিশুদের নিয়ে কী করছে এসব নিয়ে আয়োজন ছিল। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের উপস্থিতিতে 'পুলিশ আমার বন্ধু' সেশন হয়েছে। কমিশনার শিশুদের প্রশ্ন শুনেছেন ও উত্তর দিয়েছেন। যাতে বাচ্চারা ভয় না পায়। এছাড়াও এক সেশনে শিশু মনোবিজ্ঞানী শিশুদের কথা শুনে শুনেছেন, মায়েদের কথাও শুনেছেন। বাবা-মা ও শিশুদের সেশন ছিল সেদিন। এভাবে প্রতিদিন ছোটরা বলছে, বড়রা শুনছে এবং তাদের কথার উত্তর দিচ্ছেন। আর আমরা সাত দিনে সাতটি নাটক প্রদর্শন করেছি নাট্য উৎসবে। বাচ্চার অনেক আনন্দ করছে তারা অনেক খুশি।


সুবিধা বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া শিশুদের বিষয়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান বলেন, দেশের সুবিধা বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়ে শিশু একাডেমি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের শিশু একাডেমির আজিমপুর, কেরানীগঞ্জ, বরিশাল, রাজশাহীসহ কয়েকটি শিশু বিকাশ কেন্দ্র রয়েছে। এই শিশু বিকাশ কেন্দ্রে আমরা সুবিধা বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়ে আসি। তারা সেখানে থাকে, খায়, স্কুলে পড়াশোনা করে ও নানা ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়।


পথশিশুদের অধিকার নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পথশিশুদের নিয়ে বাংলাদেশে অনেক কাজ হচ্ছে। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন যে, বাংলাদেশের পথে কোনো শিশু থাকবে না। এটি মূলমন্ত্র হিসেবে নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পথশিশু কল্যাণ পরিষদসহ আমাদের মন্ত্রণালয় দেখছে। তাদের জন্য যথেষ্ট চিন্তা-ভাবনা করে কাজ করা হচ্ছে। তাদের জন্য যে কিছু হচ্ছে না এমন নয়।



লাকী ইনাম বলেন, এরা ইচ্ছাকৃত পথশিশু। মা-বাবা এদের না দেয় স্কুলে, না কিছু শেখায়, তারা পথে ছেড়ে দেয় ভিক্ষা করার জন্য। তাদের শনাক্ত করলে দেখা যাবে, এ পথ ছেড়ে তারা আসতে চায় না বা তাদের বাবা-মা কোনো কেন্দ্রে আসতে দেয় না। কারণ তারা এলে টাকা রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যাবে।


বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান আরও বলেন, সারাদেশের প্রতিটি জেলায় শিশু একাডেমির পক্ষ থেকে শিশুদের জন্য নানা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে শিশুদের অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। কারণ আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ।


আরেকটি বছর চলে গেল, চলে গেল শিশু সপ্তাহ, কিন্তু কথায় আর কাজে, আয়োজন আর উদ্যোগে শুধু গরমিলই রয়ে গেল!


বিবার্তা/রিয়াদ/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com