বাংলাদেশের জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৩, ১৬:০৪
বাংলাদেশের জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশে আবাসিক ও শিল্প গ্রাহকদের জন্য প্রিপেইড মিটারিং সিস্টেমের মাধ্যমে গ্যাস বিতরণ ও ব্যবহারের দক্ষতা উন্নত করাসহ প্রাকৃতিক গ্যাসের মান শৃঙ্খলে মিথেন নির্গমন কমাতে বাংলাদেশের জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ৩ হাজার ২১০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে)।


২৮ জুলাই, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে এ অর্থ অনুমোদন করে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির ঢাকা অফিস এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।


বিশ্বব্যাংক জানায়, গ্যাস সেক্টর এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট এবং কার্বন অ্যাবেটমেন্ট প্রজেক্ট গ্যাস ট্রান্সমিশন, ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কে প্রাকৃতিক গ্যাস লিকেজ ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা করতে এ অর্থ সহায়ক হবে। এর ফলে আবাসিক ও শিল্প ব্যবহারকারীদের ব্যবহারে অপচয় কমবে এবং নেটওয়ার্ক মনিটরিং ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে। ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে ১২ লাখের বেশি প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হবে। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আবাসিক গ্রাহকদের ৫৪ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগের জন্য ১ লাখ ২৮ হাজার এবং ঢাকায় ১১ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে। যা পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (পিজিসিএল) সম্পূর্ণ আবাসিক গ্রাহককে কভার করবে। এর আওতায় বৃহত্তর শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫০টি স্মার্ট মিটার চালু করা হবে।


সংস্থাটি আরও জানায়, গ্যাস প্রবাহ পর্যবেক্ষণ উন্নত করতে ও গ্যাসের লিক কমাতে পিজিসিএল-এর নেটওয়ার্কে একটি সুপারভাইজরি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডেটা অ্যাকুইজিশন এবং জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম ইন্সটল করা হবে। এর মাধ্যমে গ্যাসের লিক শনাক্তকরণ এবং মেরামত করার জন্য গ্যাস নেটওয়ার্কে আরও ভালো পর্যবেক্ষণের সঙ্গে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো সম্ভব হবে।


বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন কমানোর লক্ষ্য রয়েছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত প্রতিশ্রুতি অর্জনের জন্য এদেশের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে। প্রকল্পটি পরিবার ও শিল্পে প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় কমানোসহ গ্যাসের পাইপলাইনে লুকায়িত মিথেন নির্গমন কমাতে সাহায্য করবে।


বাংলাদেশের গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের সবচেয়ে বড় উৎস তেল ও গ্যাস খাত থেকে আসে। এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এনার্জি স্পেশালিস্ট সামেহ আই মোবারেক বলেছেন, প্রিপেইড গ্যাস মিটার এবং উন্নত মনিটরিং সিস্টেমগুলো প্রাকৃতিক গ্যাসের শেষ ব্যবহার অপ্টিমাইজ করতে, মিথেন লিকেজ প্রশমিত করতে, গৃহস্থালি এবং শিল্প ব্যবহারকারীদের জন্য গ্যাসের বিল কমাতে সহায়তা করবে। প্রকল্পটি প্রাকৃতিক গ্যাসের মান শৃঙ্খল বরাবর সিওটু এবং মিথেন নির্গমন উৎস শনাক্ত করতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে। এছাড়া, বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা এবং অবকাঠামোতে নির্গমন হ্রাস করার সুযোগগুলো চিহ্নিত করবে এবং অগ্রাধিকারে সহায়তা করবে।


বিবার্তা/রিয়াদ/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com