তৃতীয় ধাপ
সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তনের দাবি শুনানি বৃহস্পতিবার
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৩, ১০:৪৮
সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তনের দাবি শুনানি বৃহস্পতিবার
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৮ সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে পড়া ১৮৬ আবেদন শুনানির তৃতীয় ধাপে ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও ঢাকা অঞ্চলের শুনানী হবে বৃহস্পতিবার (১১ মে)।


এসব অঞ্চলের আবেদনের শুনানী আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন ভবন অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।


কমিশনের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কিশোরগঞ্জে নতুন আসন সৃষ্টিকরণ, ফরিদপুর -১,২,৩ ও ৪ আসন, ঢাকা-৪ ও১৯, গাজীপুর -২ ও ৪, নারায়ণগঞ্জ -৪ ও ৫ আসনের শুনানি হবে সকাল ১০ টা থেকে সাড়র ১২.৩০ টা পর্যন্ত।


সারাদেশ থেকে সংসদীয় আসনের সীমানাসংক্রান্ত ১৮৬ দাবি-আপত্তির আবেদন জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনে। সীমানার আপত্তি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৮৪টি আবেদন জমা পড়েছে কুমিল্লা অঞ্চল থেকে। রাজশাহীতে ৪৩টি, বরিশালে ২৯টি, ঢাকা অঞ্চলে ১৮টি আবেদন জমা পড়েছে। এ ছাড়া খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে পাঁচটি করে আবেদন পড়েছে। অন্যদিকে সিলেট ও রংপুর অঞ্চল থেকে কোনো আবেদনই জমা পড়েনি।


নির্বাচন কমিশন জানায়, ৩৮ সংসদীয় আসনে প্রকাশিত খসড়া ইসির পক্ষে ৬০ আবেদন পড়েছে। বিপক্ষে পড়েছে ১২৬ আবেদন।


কুমিল্লা অঞ্চলের যে আবেদনগুলো হয়েছে সেই আবেদনগুলো ৩ মে শুনানী হয়। আর রাজশাহী অঞ্চলের শুনানি হয় গত ৭ মে।
শেষ ধাপে বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের আবেদনের তারিখ নিস্পত্তি হবে ১৪ মে।


আবেদনের এসব শুনানি নির্বাচন কমিশনের বেজমেন্টের সভাকক্ষে হয়। এর জন্য একটা গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কোনটা কোন তারিখে অনুষ্ঠিত হবে তার গণবিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে৷ যারা আপত্তি দাখিল করেছিলেন তারা তাদের যৌক্তিক প্রমাণাদিসহ শুনানীতে উপস্থাপন করতে হবে।


এদিকে বিদায়ী নুরুল হুদা কমিশনের রেখে যাওয়া সংসদীয় আসনের সীমানা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খসড়া সীমানা হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।


নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৯ মার্চ পর্যন্ত সংক্ষুব্ধরা এ বিষয়ে আবেদন করেছিল। সীমানাসংক্রান্ত প্রাপ্ত আবেদনের শুনানি শেষে জুনের মধ্যে সীমানা চূড়ান্ত করতে চায় বর্তমান কমিশন।


ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমানে যে তিনশ’টি আসন রয়েছে সেই আসনগুলোর সীমানার খসড়া প্রকাশ করেছিলাম। সেই গেজেটে বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছিল ১৯ মার্চের ভিতরে সে আপত্তিগুলো উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের ভিতরে ১৮৬টি আবেদন পেয়েছি। যার ভিতরে পক্ষে এবং বিপক্ষে রয়েছে। এই আপত্তিগুলো শুনানি করে নিস্পত্তি করার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সভায় চার দিনে আপত্তিগুলো নিস্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে।


নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কর্তৃক ২৬ ফেব্রুয়ারি
জারিকৃত প্রজ্ঞাপন জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এলাকা ভিত্তিক নির্বাচনী এলাকাসমূহের পুনঃনির্ধারিত সীমানা সম্পর্কে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যারা নির্বাচন কমিশনে লিখিত আপত্তি বা পরামর্শ দাখিল করেছেন, নির্বাচন কমিশন প্রকাশ্য শুনানীর মাধ্যমে তাঁদের আপত্তি বা পরামর্শসমূহ নিষ্পত্তি করবেন।


প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শুনানীতে শুধুমাত্র গেজেটে বর্ণিত নীতিমালার ব্যত্যয় সংক্রান্ত আপত্তি/পরামর্শসমূহ বিবেচনা করা হবে। নতুনভাবে উত্থাপিত কোন আপত্তি/পরামর্শ গ্রহণ করা হবে না এবং ১৯ মার্চ তারিখের পর প্রাপ্ত আপত্তি/পরামর্শ বিবেচনা করা হবে না।


আরো বলা হয়, আপত্তিকারী/পরামর্শকারী বা তাঁর ক্ষমতাপ্রাপ্ত কৌশুলি /আইনজীবিকে ছাড়া অন্য কেউ তাঁর পক্ষে শুনানীতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। আপত্তিকারী/পরামর্শকারীকে শুনানীতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। কোন অবস্থাতেই আপত্তি/পরামর্শ শুনানীর তারিখ ও সময় পরিবর্তন করা হবে না।


স্থান সংকুলানের সমস্যা হলে শুনানী কক্ষে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে হবে বলে জানায় কমিশন


বিবার্তা /সানজিদা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com