
কোভিড-১৯ এর সেকেন্ড ওয়েভ থেকে দেশবাসীকে রক্ষার্থে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এ জন্য মোবাইল কোর্টগুলোকে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশনা ও প্রদান করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিভাগীয় কমিশনারগণ জানিয়েছেন, মাস্ক ব্যবহার না করায় গত সাত দিন ধরে তারা ব্যাপক হারে জরিমানা করছেন। গতকালও কয়েক হাজার লোককে জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি আরো এক সপ্তাহ দেখতে, মানুষকে আরো মোটিভেশন করতে। তারপরে আরেকটু স্ট্রং পানিশমেন্টে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যেভাবেই হোক মানুষের মাঝে মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে তিনি আরো বেশি প্রচার চালাতে বলেছেন।
‘ফোর্স কর যেভাবে হোক মানুষ যেন মাস্ক ব্যবহার করে। মাস্ক ব্যবহার না করলে যতই ভ্যাক্সিন বলেন আর ওষুধ বলেন প্রোটেকশন কোনো কাজে আসবে না,’ প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্ধৃতিরও উল্লেখ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
যে কারণে মন্ত্রিসভার অনির্ধারিত আলোচনায় আবারো মাস্কের বিষয়টা খুব স্ট্রংলি এসেছে, বলেন তিনি।
স্ট্রং পানিশমেন্ট কী হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘হয়তো জরিমানা বাড়তে পারে, এখন ১ হাজার বা ৫০০ টাকা জরিমানা করছে, সেটা ৫ হাজার টাকা করে দিল। এ রকম আমরা আরেকটু স্ট্রং ওয়েতে যেতে বলেছি। যারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন সঙ্গে মাস্কও সাথে নিয়ে যাবেন যাতে মানুষকে জরিমানা করার সঙ্গে সঙ্গে একটা মাস্ক দিয়ে দেয়া যায়।’
‘গতকাল বিভাগীয় কমিশনারের মিটিংয়ে ধর্ম সচিব ছিলেন, তাদের বলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষাসচিবকেও বলে দেয়া হয়েছে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরো ব্যাপক হারে প্রচারণার জন্য এবং এক্ষেত্রে মিডিয়াও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, বলেন তিনি।
ঢাকা শহরে গতকাল ৩৭টি জায়গায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘একেক জায়গায় একেক রকম জরিমানা করা হচ্ছে, কোথাও ৫০০ টাকা কোথাও ১ হাজার টাকা।’
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঢাকা বিভাগে যেভাবে ছড়াচ্ছে বাইরে সেই পরিমাণে ছড়াচ্ছে না। ঢাকা শহরে গত ১৫ দিন আগে যেখানে ৩০০ রোগী ছিল গতকাল বোধহয় ৬০০ হয়ে গেছে।
রাজধানীর হাসপাতালে রোগী বৃদ্ধির হার দেখে সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড হয়তো একটু বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিবার্তা/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
ময়মনসিংহ রোড, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]