পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিম হত্যা মামলায় গ্রেফতার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন জামিন পেয়েছেন। তার মুক্তির দাবিতে চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন ক্ষোভ-বিক্ষোভ জানিয়ে আসছিল। সারাদেশে মনোরোগ চিকিৎসকরা তাদের চেম্বারে সন্ধ্যায় দুই ঘণ্টা রোগী দেখা বন্ধ রাখছিল।
গ্রেফতারের ছয় দিন পর রবিবার ডা. মামুনকে জামিন দেন ঢাকার মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল।
মামুনের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন বলে ঢাকার মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ কমিশনার জাফর হোসেন জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১৭ নভেম্বর ডা. মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল আদালত, যাতে চিকিৎকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
রিমান্ড শেষে ২০ নভেম্বর ডা. মামুনকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছিলেন হত্যা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ফারুক মোল্লা। তখন আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছিল।
গত ১২ নভেম্বর ঢাকার আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে মানসিক চিকিৎসার নামে জ্যেষ্ঠ এএসপি আনিসুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এএসপি আনিসুলকে সেদিন প্রথমে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে নিয়ে গিয়েছিলেন তার বোন ও ভগ্নিপতি, যারা দুজনই চিকিৎসক। সেখান থেকে নেয়া হয় বেসরকারি মাইন্ড এইডে।
আনিসুলের বাবা যে হত্যা মামলা করেছিলেন, সেই মামলায় গত মঙ্গলবার ডা. মামুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ দাবি করে, তিনিই আনিসুলকে মাইন্ড এইডে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
তবে পুলিশের এই বক্তব্য নাকচ করেছে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, আনিসুলের চিকিৎসক স্বজনরাই তাকে মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ভর্তি না করে মাইন্ড এইডে নিয়ে গিয়েছিলেন।
বিবার্তা/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]