কাপড়ের দোকানের সামান্য একজন বিক্রয়কর্মী থেকে এখন তিনি এক হাজার ৫০ কোটি টাকার মালিক। নাম মনির হোসেন হলেও নামের সঙ্গে টাইটেল জুড়ে হয়ে গেছেন ‘গোল্ডেন মনির’।
জানা গেছে, রাজধানীর নিউমার্কেটের গাউসিয়া মার্কেটে ৩০ বছর আগে একটি কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী ছিলেন মনির। কেরানীগঞ্জের ছেলে মনিরের বাবার মূল আয় ছিল গামছা বিক্রি। টাকার অভাবে বাড্ডায় নানাবাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন মনির। যদিও ক্লাস টেনের গণ্ডি পেরুতে পারেননি তিনি।
কিছুদিন গাউসিয়া মার্কেটে কাজ করে হাড়ি পাতিলের দোকানে আবারো বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে মনির। এবার মৌচাকে। এখানে পরিচয় এক লাগেজ ব্যবসায়ীর সঙ্গে। আর এটাই ছিল মনিরের টার্নিং পয়েন্ট। যুক্ত হলেন লাগেজ ব্যবসায়।
ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ভারত এই রুটে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে মনির আনতে শুরু করেন কাপড়, মোবাইল ও ঘড়ি। এই কাজে হাত পাকিয়ে তিনি নেমে পড়েন সোনা চোরাচালানির কাজে। বায়তুল মোকাররমে একটি জুয়েলারির দোকানও দেন। চোরাই সোনা পাচারে এই দোকান তাকে সাহায্য করে। মনির হোসেন পরিচিতি পায় গোল্ডেন মনির হিসেবে।
র্যাব জানিয়েছে, তিনি একজন সোনা চোরাকারবারি, হুন্ডি ব্যবসায়ী ও জমির দালাল। তিনি একটি গাড়ির শো রুমের সত্ত্বাধিকারী। রাজউকের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে তিনি বিপুল অর্থ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।
এখানেই থেমে যায়নি মনিরের অবৈধ কাজের সীমা। শুরু হয় ভূমিদস্যুতা, জমির দালালি, হুন্ডি ব্যবসা এমনকি রাজউকের নথিপত্র জাল করার কাজও। আর এভাবেই এই শহরে গোল্ডেন মনিরের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় হাজার কোটি টাকারও বেশি।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]