জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে কর্মরত মুসলমান নারীদের পর্দা ও পুরুষদের টাকনুর ওপর কাপড় পরিধানের নিদের্শনা প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আবদুর রহিম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমি এ নির্দেশনাটি সবার জন্য দেইনি। শুধু মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য দিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ধর্ষণের ঘটনা বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে দেখে আমি খুবই বিস্মিত। ধর্ষণে কবীরা গুনাহ হয়। আমি চিন্তা করলাম, আমাদের জন্য কত সহজ যে আমরা কবীরা গুনাহ এভয়েড করতে পারি। টাকনুর উপড়ে পুরুষ কাপড় পড়বে, আর মহিলারা টাকনুর নিচে কাপড় পড়বে।
পরিচালক বলেন, ধর্ম একটা ব্যক্তিগত বিষয়, এটা চাপিয়ে দেয়া নয়। এটা তার জ্ঞানগর্ভে একটু নাড়া দেয়া। মুসলমানরা জানেন, টাকনুর নিচে কাপড় পড়লে কী হয়।
তিনি বলেন, এটা তো আমি ফেসবুকে দেই নাই, এটা আমি দিয়েছি, আমার ইন্সটিটিউটে আমার স্টাফরা যাতে কবীরা গুনাহ থেকে বাঁচে।
শোকজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মন্ত্রণালয়কে ভেবেচিন্তে জবাব দেব। মন্ত্রণালয়ের চিঠিটা তো আমাকে ভেবেচিন্তে লিখতে হবে।’
এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে কর্মরত মুসলিম ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষকে পর্দা মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়।
জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের পরিচালক মুহাম্মদ আবদুর রহিম বুধবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
পরিচালক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অফিস চলাকালে মোবাইল সাইলেন্ট/বন্ধ রাখা এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পুরুষ টাকনুর উপরে এবং মহিলা হিজাবসহ টাকনুর নিচে কাপড় পরিধান করা আবশ্যক এবং পর্দা মানিয়া চলার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে পর্দা মেনে অফিস করার বিজ্ঞপ্তি!
বিবার্তা/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]