শিরোনাম
নিজেকে সৎ দক্ষ ও সজ্জন দাবি সাবেক স্বাস্থ্য ডিজির
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২০, ১৮:১৪
নিজেকে সৎ দক্ষ ও সজ্জন দাবি সাবেক স্বাস্থ্য ডিজির
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আমি কোনো দুর্নীতি করিনি, আমি সৎ, দক্ষ ও সজ্জন হিসেবে কাজ করেছি। বুধবার (১২ আগস্ট) দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে এমন দাবি করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদ। এ সময় তিনি আরো বলেন, দুর্নীতি যেই করুক আমি তার শাস্তি চাই, দুদককে আমি সহযোগিতা করব।


তিনি বলেন, যেহেতু আমার সময়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাই আমি পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে। তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি আবুল কালাম আজাদ।


দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ডাকে সাড়া দিয়ে সকাল ১০টার কিছু আগে সেগুনবাগিচার কার্যালয়ে যান স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম। এরপর ১০টার দিকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক। বৃহস্পতিবারও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলবে বলে জানা গেছে।


দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বেলা তিনটার দিকে দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সাবেক এই কর্মকর্তা। এসময় তিনি সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় তিনি দাবি করেন, ‘কিছু দিন ধরেই তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন।’


দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদক পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চুক্তির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবেক পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মদ আমিনুল হাসানসহ আরো দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক।


দুদক জানিয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরস্পর যোগসাজশে ‘অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে’ কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য ‘নিম্নমানের’ মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কিনে বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ এসেছে কমিশনের হাতে।


এসব অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ১৫ জুন দুদক কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন শিবলীকে প্রধান করে চার সদস্যের এ অনুসন্ধান টিম গঠন করে কমিশন। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) এক উপ-পরিচালকসহ তিন কর্মকর্তাকে গত ২০ জুলাই দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর গত ৬ অগাস্ট স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে তলব করে চিঠি পাঠায় দুদক।


অপরদিকে দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত পত্রে ১৩ আগস্ট অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে তলব করা হয়েছে। এই পত্রে বলা হয়, সাহেদ, চেয়ারম্যান, রিজেন্ট হাসপাতাল লিঃ , উত্তরা , ঢাকা ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করে করোনা সনদ দেয়ার নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকে চলমান অনুসন্ধানের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাকে (জনাব আবুল কালাম আজাদ) তলব করা হয়েছে।


উল্লেখ্য, মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একের পর এক কেলেঙ্কারিতে সমালোচনার মুখে গত ২১ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র দেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের তৎকালীন মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল কালাম আজাদ।


বিবার্তা/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com