শিরোনাম
সাহেদ সাতক্ষীরা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল: র‌্যাব
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২০, ১৬:২৯
সাহেদ সাতক্ষীরা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল: র‌্যাব
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের প্রতারণার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।


বুধবার (১৫ জুলাই) বিকালে র‌্যাব সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সাহেদ সাতক্ষীরা এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু র‌্যাব তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।


সাহেদের বিরুদ্ধে ৫৯টি মামলা রয়েছে। তিনি করোনার ভুয়া পরীক্ষার রিপোর্ট দিতেন। এতে রোগীর কাছ থেকে তিনি অর্থ নিয়েছেন। আবার সরকারের কাছ থেকেও তিনি অর্থ নিয়েছেন।


র‌্যাব মহাপরিচালক জানান, সাহেদকে নিয়ে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে লক্ষাধিক জাল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।


তিনি জানান, সাহেদ খুবই চাতুর্যের সঙ্গে ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করতেন। গ্রেফতার এড়াতে তিনি এ কৌশল নিলেও তাকে অনুসরণ করেছে র‌্যাব। সাহেদ এর মধ্যে একাধিকবার ঢাকায় এসেছেন এবং ঢাকার বাইরে গিয়েছেন। কখনো তিনি নিজের গাড়ি ব্যবহার করেছেন আবার কখনো বাইরের গাড়ি ব্যবহার করেছেন। হেঁটেও বেড়িয়েছেন।


এর আগে বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে বুধবার সকালে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।


বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর ৫টা ১০ মিনিটে সাতক্ষীরা সীমান্তের দেবহাটা থানার সাকড় বাজারের পাশে অবস্থিত লবঙ্গপতি এলাকা থেকে নৌকায় পালিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। সাহেদকে সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।


সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী স্থানীয় একজন কালোবাজারির মাধ্যমে ডিঙ্গি নৌকায় চেপে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। ঠিক সেই সময় র‍্যাবের বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে তাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে।


উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে র‍্যাব উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। এরপর রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। ৭ জুলাই করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র‌্যাব।


মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এজাহারে। এরপর থেকেই পালিয়ে ছিলেন সাহেদ। তাকে গ্রেফতারে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় র‌্যাব। অবশেষে সাতক্ষীরা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় তারা।


এর আগে, করোনার নমুনা পরীক্ষায় প্রতারণার একই অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ পারভেজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যার পর গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।


এর আগে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ায় ৭ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা বন্ধ করে দেয়া হয়।


বিবার্তা/খলিল/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com