যশোরের সাংবাদিক দানিয়েল হাবিব অঞ্জন ওরফে নোভা খন্দকার আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নোভা খন্দকার যশোর শহরের বেজপাড়া কবরস্থান এলাকার আহসান হাবিবের ছেলে। সোমবার সকাল নয়টার দিকে তাকে বাড়ির নির্মাণাধীন একটি ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। স্বজনদের কাছ থেকে খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ এসে লাশ মর্গে নেয়।
নোভার বাবা আহসান হাবীব বলেন, ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যায় নোভা। ফিরতে দেরি হওয়ায় তার বোন ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির মধ্যে নির্মাণাধীন ঘরের একপাশে নোভাকে ঝুলে থাকতে দেখে। পরে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
নিকটাত্মীয় কাজী মামুনুর রশিদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেকার ছিলেন নোভা। এ কারণে হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। হয়তো এই কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
কোতয়ালী থানার এসআই শামীম জানান, সকালে নির্মাণাধীন ঘরে গলায় গামছা দেয়া অবস্থায় নোভার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা এই পুলিশ কর্মকর্তার। তবু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু বলতে রাজি নন তিনি।
বাবা আহসান হাবীব জানান, নোভা খন্দকারের স্ত্রী শম্পা ও নাজ্জার হাবিব নামে সাত বছর বয়সী একটি ছেলে আছে। ছেলেটি স্কুলে পড়ে। স্ত্রী-সন্তান পাবনায় থাকেন। সেখানে নোভার শ্বশুরবাড়ি। শম্পা একটি মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানিতে চাকরি করেন।
নোভার সাংবাদিক বন্ধুরা বলছেন, তিনি দীর্ঘদিন বেকার ছিলেন। মাঝে ঢাকায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করলেও কোথাও থিতু হতে পারেননি। পরে যশোর চলে এসেও তিনি কোনো কাজ পাননি। তীব্র আর্থিক সংকট তাকে আত্মহত্যার দিকে টেনে নিয়ে গেছে বলে তারা মনে করছেন।
বিবার্তা/তুহিন/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]