
অমর একুশে বইমেলাকে যেন বাড়তি গতি দিচ্ছে মেট্রোরেল। বইমেলায় আসা যাওয়ার পথে দর্শনার্থীদের জন্য মেট্রোরেল রীতিমতো যেন আশীর্বাদ।
অফিস কিংবা অন্যান্য কাজকর্ম শেষ করে ছুটির দিন বাদেই সপ্তাহের কর্মব্যস্ত দিনেও পরিবার নিয়ে মেট্রোরেল ধরে সহজেই বইমেলায় আসতে পারছেন কর্মজীবী মানুষ।
বিশেষ করে পরিবারের নারী ও শিশু সদস্যদের নিয়ে কোন ধরনের ঝক্কি ছাড়াই একবারে বইমেলার প্রবেশপথে গোড়ায় পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে খুব সহজেই।
উত্তরা-মিরপুরের বাসিন্দাদের আগের বছরগুলোতে যেখানে বইমেলায় যেতে আসতেই ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা লেগে যেতো যানজটের কারণে, সেখানে অফিস শেষ করে পরিবার নিয়ে বিকেল কিংবা সন্ধ্যার মধ্যেই বইমেলায় পৌঁছে যেতে পারছেন দর্শনার্থীরা।
মঙ্গলবার বিকেলে মেট্রোরেলের বাংলা একাডেমি স্টেশনে গিয়ে দেখা গেল উত্তরা প্রান্ত থেকে ট্রেনগুলো আসছে যাত্রীতে পূর্ণ হয়ে। তবে এই স্টেশনেই প্রায় ফাঁকা যাচ্ছে প্রতিটি ট্রেন। যাত্রীদের বেশিরভাগেরই গন্তব্য বইমেলা।
মেট্রোরেলের কারণে বইমেলায় দর্শনার্থীদের আসা যাওয়ার স্বস্তির বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন মেট্রোরেল স্টেশন সংলগ্ন বইমেলার প্রধান প্রবেশমুখে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও। এক পুলিশ সদস্য জানান, মেট্রোরেলের স্টেশন থেকে দল বেঁধে দর্শনার্থীরা ঢুকছেন বইমেলায়। তাদের চোখেমুখে দেখা যাচ্ছে স্বস্তিময় ভ্রমণের অভিব্যক্তি।
অবশ্য এবার যে বইমেলায় বিশেষ মাত্রা যোগ করবে মেট্রোরেল, সে সম্পর্কে বইমেলা শুরুর আগেই জানিয়েছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের কারণে এবারে বইমেলায় দর্শনার্থীদের পরিমাণ বাড়বে অনেকখানি। এতে বইমেলায় সার্বিক বই বিক্রির পরিমাণও বেড়ে যাবে অনেকখানি।
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]