করোনা পরবর্তী টানাপোড়েনের পর
এবার ছন্দ ফিরল বইমেলায়
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:২৮
এবার ছন্দ ফিরল বইমেলায়
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

করোনা পরবর্তী টানাপোড়েনের পর এবার ছন্দ ফিরে এসেছে বইমেলায়। অন্যান্যবারের প্রথম পাঁচ দিনের তুলনায় এবারের পাঁচ দিন কিছুটা অন্যরকম। বেচাকেনাও বেশি, দর্শক-পাঠক-ক্রেতাও বেশি বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়নের কর্মীরা।


সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পাঁচদিন পার করল প্রাণের এ মেলা। শুরুর পর দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে টানা তিনদিন লেখক-পাঠক-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল বইমেলা।


রবি-সোমবার কর্মদিবসেও উৎসবমুখর ছিল বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। মানুষের সমাগম হলেও বিক্রি নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয় লেখক-প্রকাশকরা।


তবে মেলার প্রথম সপ্তাহেই এত ভালো বিক্রি, গেল কয়েক বছরে হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা।


লেখক-প্রকাশকরা বলছেন, প্রতি বছরই মেলার প্রথম সপ্তাহে তেমন বই বিক্রি হয় না। অনেকে দেখে চলে যান, অনেকে পছন্দের বইয়ের তালিকা করে রাখেন। আবার অনেকে ছাড়ের অপেক্ষায় থাকেন। তবে এ বছর ভিন্নচিত্র দেখা যাচ্ছে। মানুষ আসছে যেমন বেশি, তুলনামূলক বিক্রিও ভালো।


বইমেলার মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, সন্ধ্যার দিকে অনেকটাই জমজমাট সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। মেলার এই অংশে সব বয়সীদের ভিড় দেখা গেছে। যদিও আজ ছিল সাপ্তাহিক কর্ম দিবসের প্রথম দিন।


প্রথমা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী উম্মে সালমা বলেন, ‘স্টল খোলার আগ থেকেই অনেকে আজ অপেক্ষা করছিলেন। খোলার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় লেগেছে। সবসময় পাঠকদের উপস্থিতি দেখছি। আমার ধারণা—৬০ শতাংশ পাঠক বই কিনে নিয়েই ফিরছেন।’


সব্যসাচী প্রকাশনীর প্রকাশক শতাব্দী ভব বলেন, প্রথম প্রথম জমতে কিছুটা সময় লাগে। এরইমধ্যে তার স্টলে নতুন বেশ কিছু বই চলে এসেছে। ব্যস্ত সময় কাটছে। খুব দ্রুতই বাকিগুলো চলে আসবে। বিক্রি হচ্ছে মোটামুটি। অন্তত গতবারের তুলনায়।


লিটলম্যাগ চত্বরে আজও অনেক স্টলেই ওঠেনি লিটলম্যাগ। তবে, গত কয়েকদিনের তুলনায় এই চত্বরে লোক সমাগম ছিল বেশি। গল্প, গানে, আড্ডায় অনেকে ছিলেন মেতে। শিশুদের চত্বরেও শিশুকিশোরের কিচিরমিচির ছিল দেখার মতো। হাতে কিছু বই নিয়ে আবারও অভিভাবকদের কাছে বই কিনে দেওয়ার বায়নাও করতে দেখা গেছে আজ


উৎস প্রকাশনের সত্ত্বাধিকারী মোস্তফা সেলিম বলেন, ‘মেলা ভালো চলছে। বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। মানুষের আনাগোনা এবার আশা জাগাচ্ছে। অনেকে অনলাইনে দেখে নাম উল্লেখ করে বই চাইছেন। কেউ কেউ কিছুটা ডিসকাউন্ট চাচ্ছেন। দরদামে হলে বই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।’


সত্যয়ন প্রকাশনীর আতিকুর রহমান বলেন, ‘বড় স্টল এবং প্যাভিলিয়নগুলোতে সবসময় বিক্রি বেশি। স্টল জাঁকজমকপূর্ণ হওয়ায় সেদিকে মানুষের ভিড়ও বেশি। মেলার কিছু স্টলে যেমন ভিড় ও বিক্রি বেশি, তেমনি কিছু স্টল ফাঁকা। বিক্রিও নেই সেখানে। এটা প্রতিবারই হয়।’


এবার বইমেলায় ৫৭৩ প্রতিষ্ঠানকে ৮৯৫টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৭৮৬টি সাধারণ স্টল এবং ১০৯টি স্টল লিটল ম্যাগাজিন চত্বরকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এবছর ৩৭টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।


অন্যদিকে মেলা ঘিরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মাসব্যাপী সেমিনারের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের জন্য ছবি আঁকা, সংগীত ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা রয়েছে। শিশুপ্রহরে থাকছে আকর্ষণীয় সিসিমপুরের প্রদর্শনী।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com