এসি ছাড়াই ঘর শীতল রাখার সহজ উপায়
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৪৬
এসি ছাড়াই ঘর শীতল রাখার সহজ উপায়
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

তীব্র গরমে কুপোকাত সারা দেশের মানুষ। একটু স্বস্তি পেতে এসিং কিংবা ফ্যানের উপর নির্ভর হয়ে উঠছে সবাই। অবশ্যই গরমের তীব্রতা এতোই বেশি যে ফ্যানের বাতাসও মানুষকে শীতল করতে পারছে না। তাই তো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের পেছনেই ছুটছে মানুষ।


গরমে শীতল হাওয়ার ছোঁয়া পেতে অনেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ব্যবহার করেন। তবে গরমের তীব্রতা দিন দিন বাড়তে থাকলেও অনেকের এসি কেনার সক্ষমতা নেই। অনেকেই আবার বিদ্যুৎ বিল, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এমনকি পরিবেশের ক্ষতির বিষয়টি মাথায় রেখেও এসি ব্যবহার করেন না।


চলুন আজ জেনে নেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ছাড়াই ঘর শীতল রাখার কয়েকটি সহজ উপায়।


বরফ পদ্ধতি


ঘরের তাপমাত্র নিয়ন্ত্রণে রাখতে জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি হলো বরফ পদ্ধতি। ফ্যানের নিচে বাটিতে বরফের টুকরা রাখলে এটি গরম তাপ শুষে নিয়ে গলতে শুরু করবে। এতে ঘর ঠাণ্ডা রাখা যায়।


সিলিং ফ্যানের ঘূর্ণন পদ্ধতি


গ্রীষ্মকাল ও শীতকাল, এই দুই মৌসুমে সিলিং ফ্যান দুইভাবে সেট করতে হবে। গ্রীষ্মকালে ফ্যান সেট করতে হবে ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে। আর শীতকালে ফ্যান সেট করতে হবে ঘড়ির কাটা যে দিকে ঘুরে সেদিকে। গরমের সময় এমন ঘূর্ণনের ফলে ফ্যান গরম বাতাস দ্রুত অপসারণ করতে পারে।


জানালার সঠিক ব্যবহার


যেসব জানালা দিয়ে প্রচুর পরিমাণের সূর্যের আলো ও তাপ প্রবেশ করে সেগুলো দিনের বেলা বন্ধ রাখা উচিত। কারণ ঘরের সবচেয়ে বেশি তাপ জানালা দিয়েই প্রবেশ করে। ঘর ঠান্ডা রাখতে দিনের বেলা বা দিনের যে সময় সবচেয়ে বেশি রৌদ্রোজ্জ্বল থাকে তখন তাপ প্রবেশ করার পথ বন্ধ করে দিলে উত্তাপ কম থাকবে।


তবে রাতে ঘুমাবার আগে জানালা খুলে শীতল বাতাস প্রবেশ করতে দিতে হবে। এতে করে ভেতরের গরম বাতাস বাইরে বের হয়ে ঘরকে শীতল করবে। দিনের বেলা নতুন ভাবে রোদ না ঢুকলে এই শীতল বাতাস প্রশান্তি দেবে। এছাড়া বাজারে বাহারি ধরনের পর্দা থাকলেও গরম কমাতে চাইলে মোটা কাপড়ের এবং গাঢ় রং যেমন কালো, বেগুনি, নীল, খয়েরি এমন রংগুলো বাছাই করতে পারেন। কারণ এগুলোর তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি, তাপ বিকিরণ ক্ষমতা কম থাকে৷


মোটা এবং গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার


গরম কমাতে মোটা কাপড়ের এবং গাঢ় রঙ যেমন কালো, বেগুনী, নীল, খয়েরী এমন রঙগুলো বাছাই করতে পারেন। কারণ এগুলোর তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি, তাপ বিকিরণ ক্ষমতা কম থাকে৷


প্রাচীন মিশরীয় পদ্ধতি


এই পদ্ধতিতে সাধারণ একটি নিয়ম ছিল শীতল জলাবদ্ধতা তৈরি করা। জানালা-দরজায় বা রোদ প্রবেশের স্থানে ভেজা চট বা মাদুর রেখে দিত মিশরীয়রা। রোদের তাপ ভেজা মাদুর বা ভেজা চটের পানি শুকিয়ে ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা তেমন একটা বাড়ানোর সুযোগ পেতো না।


তাপ প্রবেশ রোধ করা


জানালার মাধ্যমে প্রায় ২৫ শতাংশ তাপ ঘরে প্রবেশ করতে পারে। ঘর ঠাণ্ডা রাখতে দিনের বেলা বা দিনের যে সময় সবচেয়ে বেশি রোদ্রৌজ্জ্বল থাকে তখন তাপ প্রবেশ করার পথ বন্ধ করে দিলে উত্তাপ কম থাকবে।


রাতে ঘরে বাতাস প্রবেশ করতে দেয়া


রাতে ঘুমাবার আগে জানালা খুলে শীতল বাতাস প্রবেশ করতে দিতে হবে। এতে করে ভেতরের গরম বাতাস বাইরে বের হয়ে ঘরকে শীতল করবে। দিনের বেলা নতুন ভাবে রোদ না ঢুকলে এই শীতল বাতাস প্রশান্তি দেবে।


প্রয়োজন ছাড়া বৈদ্যুতিক যন্ত্র চালু না করা


যেকোনো সক্রিয় ডিভাইস চালু থাকলে তা নির্দিষ্ট কাজের পাশাপাশি কিছু শক্তি তাপ উৎপাদনে ব্যয় করে। এতে ঘর গরম হয়। তাই অব্যবহৃত যে কোনো কিছু বন্ধ করা উচিত। কম্পিউটার, টেলিভিশন, ওভেন, কিংবা এমন ডিভাইস যা প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে তা বন্ধ রাখতে হবে। ঘরে ব্যবহৃত বাল্বগুলোও তাপের উৎস। তাই সব লাইট বন্ধ করা সবসময় সম্ভব না হলেও আলো যতটা সম্ভব কম রাখতে পারেন।


উত্তাপ কমাতে ঘরে গাছ রাখা


বেশ কিছু গাছ আছে যা তাপমাত্রা ঠাণ্ডা রাখতে সক্ষম। যেমন, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম, গোল্ডেন পোথোস বা সাদা-সবুজ মিশেলের মানি প্ল্যান্ট, স্নেক প্ল্যান্ট বা ফণিমনসা, ফার্ন ইত্যাদি। এছাড়াও আইভি, দ্রুত বর্ধনশীল লতা এবং আলংকারিক গৃহস্থালির উদ্ভিদ দেয়াল বা জানালায় ব্যবহার করা যেতে পারে। সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি তাপ আর রোদ প্রবেশ নিরোধক হিসেবেও এটি কাজ করবে।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com