
সারা দিন বইয়ে মুখ গুঁজে পড়াশোনা করলেই যে সন্তান ভালো মানুষ হবে, এমন ধারণা ঠিক নয়। পড়াশোনার সঙ্গে খেলাধুলো না করলে মানসিক বিকাশও বাধাপ্রাপ্ত হয়।
কিন্তু সেই খেলাধুলো যদি ‘ডিজিটাল’ মাধ্যমেই আটকে হয়, তা হলে তো আরও বিপদ! এমনিতেই এখন পড়াশোনার জন্য দিনের বেশির ভাগ সময়ে কম্পিউটারে চোখ রাখতে হয়। তাতে চোখের ক্ষতি যা হওয়ার তা তো হয়েছেই। সঙ্গে দোসর হয়েছে স্থূলত্ব।
এই সব সমস্যা সামাল দিতে বাচ্চাকে যেসব শরীরচর্চার সুযোগ করে দিতে পারেন-
১) সাঁতার:
রক্ত সঞ্চালন থেকে শুরু করে গোটা শরীরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক রাখতে সাঁতার কিন্তু দারুণ কাজের। ছোট থেকে সাঁতার কাটা অভ্যাস করলে বয়ঃসন্ধির সমস্যাগুলি সহজেই এড়িয়ে চলা যায়।
হরমোন ক্ষরণে সমতা রক্ষা করতেও সাহায্য করে এই ব্যায়াম। এ ছাড়া প্রাপ্তবয়স্কদের কার্ডিয়োভাসকুলার রোগ সংক্রান্ত জটিলতা, শরীরের নমনীয়তা স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে সাঁতার।
২) সাইক্লিং:
শরীর এবং মন— দু’টিই ভাল থাকে সাইকেল চালালে। ইদানীং শরীরচর্চার মাধ্যম হিসাবে সাইক্লিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
শিশুদের মধ্যে স্থূলত্ব, টাইপ ২ ডায়াবিটিস-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রোধ করা যাবে, যদি নিয়মিত অন্তত আধঘণ্টা সাইকেল চালানো যায়। এ ছাড়া দেহের নিম্নাঙ্গ সচল রাখতে, পেট-কেমর-ঊরুর মেদ ঝরাতে এই ব্যায়াম বেশ কার্যকর।
৩) দৌড়:
বছরে একটা দিন স্কুলের ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় দৌড়ে কোনও স্থান অধিকার করতে পারল না বলে, খুদেকে বকাবকি করার প্রয়োজন নেই।
বরং সারা বছর অল্প অল্প করে দৌড়নো অভ্যাস করাতে পারেন। তাতে ফিটনেস বজায় থাকবে আর দৌড়নোর অভ্যাসও গড়ে উঠবে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]