
দেশের বৃহৎ শিল্পগ্রুপ ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা লতিফুর রহমানের ছেলে আরশাদ ওয়ালিউর রহমান হত্যা মামলায় এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপক ডা. মুরাদ এবং পরিচালক (বিপণন ও বিক্রয়) ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ সাতজনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
জামিন পাওয়া অপর আসামিরা হলেন, ট্রান্সকম গ্রুপের কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স সেলিনা সুলতানা, ম্যানেজার (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স) কে এইচ মো. শাহাদত হোসেন এবং কর্মচারী রফিক ও মিরাজুল।
৩ জুন, সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তারা। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিনের আদেশ দেন।
আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানিয়েছেন, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। এরপর তারা বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন বর্ধিত করে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য আজকের দিন রাখেন। এদিন তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আরশাদ ওয়ালিউর রহমানের মৃত্যুর ঘটনায় তার বোন শাযরেহ হক গত ২২ মার্চ বড় বোন ও ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানসহ ১১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলায় শাযরেহ হক অভিযোগ করেন, ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে অন্য ওয়ারিশদের বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে কৌশলে বিষ প্রয়োগ বা শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে সিমিন রহমানসহ অন্যদের আচরণে প্রকাশ পাচ্ছে।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৬ জুন রাজধানীর গুলশানের বাসায় নিজের শোয়ার ঘরে মৃত অবস্থায় আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে পাওয়া যায়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে বলে জানান।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]