৩ মাসের আমাতুল্লাহ বিনতে মেহেদি। নানার মামলায় তার বাবার সাজা হয়েছে যাবজ্জীবন, তাই শিশুর জীবন থমকে আছে আদালতের বারান্দায়। বাবার মুক্তির জন্য মায়ের কোলে চড়ে ঘুরছে হাইকোর্টে।
নিষ্পাপ এই শিশুটি জন্মের পর থেকেই সাক্ষী হচ্ছে নিষ্ঠুরতার। তার বাবা-মা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ৫ বছর আগে। তারই রেশ টানতে হচ্ছে তাকে।
ভালোবেসে তার বাবা মেহেদি হাসান ও মা সাদিয়া হাসান বিয়ে করেছিলেন ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল। কিন্তু সে বিয়ে মানেনি সাদিয়ার বাবা। একটি দুটি নয় চারটি মামলা করেন মেহেদির বিরুদ্ধে। অপহরণে ১৪ বছর এবং ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাও হয়েছে মেহেদির। আর তাই স্বামীর জামিনের জন্য ৩ মাস বয়সী সন্তান নিয়ে আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন মেহেদির স্ত্রী।
ভুক্তভোগী সাদিয়া হাসান স্বর্ণা বলেন, আমার স্বামীর জামিন করার জন্য ঘুরছি। আমার স্বামী বর্তমানে জেলে আছে। ছোট বাচ্চা নিয়ে শুধু কোর্টের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। আইনি সহায়তা কখনো পাচ্ছি কখনো পাচ্ছি না। মামলাগুলোর কারণে আমাদের অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। একদম আমাদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে গেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
এ ঘটনায় হাইকোর্টে মেহেদি হাসানের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আইনজীবী বলছেন, এ ধরনের মামলায় সাজা হওয়া বাজে দৃষ্টান্ত। কারণ তারা সংসার করছেন।
ভুক্তভোগীর আইনজীবী শিশির মনির বলেন, যাকে ধর্ষণ করার জন্য সাজা হয়েছে তার জামিনের জন্যই সন্তান নিয়ে তিনি আদালতের দ্বারে এসেছেন। তাদের সংসার আছে। তার স্বামী জেলে গিয়েছে আর স্ত্রী এসে জামিনের জন্য ঘুরছে। এই ধরনের মামলা চলতে দেয়াটা উচিত নয়। কারণ এতে হয়রানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। চারটি মামলা হয়েছে একটির পর একটি। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
চলতি সপ্তাহে মেহেদি হাসানের জামিনের শুনানি রয়েছে। সেখানেই ফয়সালা হবে আমাতুল্লাহ তার বাবার কোলে ফিরে যেতে পারবে কিনা।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]