যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস পদত্যাগ করছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মতভেদকে পদত্যাগের কারণ হিসেবে ইঙ্গিত করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তবে একে ম্যাটিসের ‘অবসরে যাওয়া’ বলছেন ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ অবসরে যাবেন ম্যাটিস। সিরিয়া থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার একদিন পরই এ কথা জানালেন ট্রাম্প। তবে কাকে ম্যাটিসের স্থলাভিষিক্ত করা হবে তা বলেননি তিনি।
তবে জিম ম্যাটিস পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও এখনই তার পদত্যাগ কার্যকর হচ্ছে না। জিম ম্যাটিস ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, পরবর্তী উত্তরসূরি মনোনীত না হওয়া এবং সিনেট থেকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ফেব্রয়ারির ২৮ তারিখ পর্যন্ত তিনি তার দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
ম্যাটিসের জায়গায় কাকে নিয়োগ দেয়া হবে, তা এখনও জানাননি ট্রাম্প। তবে তিনি বলেছেন, ‘খুব শিগগিরই কাউকে ম্যাটিসের স্থলে নিয়োগ দেয়া হবে।’
ম্যাটিস পদত্যাগ করলেও তার প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। এক টুইটবার্তা ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, জোট তৈরি এবং অন্য দেশকে সামরিক দায়দায়িত্ব মেনে নেয়ার কাজে তাকে দারুণ সাহায্য করেছেন ম্যাটিস।
দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি যা করেছেন তা জোটগত দেশের স্বার্থকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তথা সবার নিরাপত্তার স্বার্থেই করেছেন উল্লেখ করে পদত্যাগপত্রে ম্যাটিস লিখেছেন, ‘বিভিন্ন বিষয়ে যার দৃষ্টিভঙ্গি তার (ট্রাম্প) সঙ্গে খুব ভালো যায়, তাকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিয়োগ করার অধিকার তার (ট্রাম্প) আছে। আমি মনে করি, আমার জন্য সরে যাওয়াটাই ঠিক হবে।’
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ম্যাটিসের পদত্যাগের মূলে রয়েছে ট্রাম্পের সঙ্গে তার মতভেদ। বিশেষ করে সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহার ও আফগানিস্তান ইস্যুতে ট্রাম্পের সঙ্গে তার মতবিরোধ তৈরি হয়।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একবারে না করে সিরিয়া থেকে ক্রমান্বয়ে সৈন্য প্রত্যাহারের পক্ষে ছিলেন ম্যাটিস। তবে ট্রাম্প সেটা চাননি।
বিবার্তা/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]