যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্সকে বরখাস্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শীর্ষ এই আইনপ্রনেতা সম্পর্কে ট্রাম্প বিভিন্ন সময়ে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেছেন।
ট্রাম্প বুধবার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, সেশনসকে অস্থায়ীভাবে সরিয়ে তার স্থানে চিফ অব স্টাফ ম্যাথু হুইটাকেরকে দায়িত্ব দেয়া হবে। আমারা অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্সকে তার কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং একইসাথে তার শুভ কামনা করি।
তবে এই বরখাস্তের ঘটনা যে খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ঘটেছে মোটেও তেমনটি নয়। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার পক্ষে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের বিচার বিভাগের তদন্ত থেকে সেশন্স নিজেকে সরিয়ে নেয়ার পর ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প।
সেশন্স তার পদত্যাগপত্রে পদ ছাড়ার সিদ্ধান্তটি যে তার নিজের ছিল না তা পরিষ্কার করেছেন। তারিখবিহীন এক চিঠিতে তিনি লিখেছেন, প্রিয় প্রেসিডেন্ট, আপনার অনুরোধে আমি আমার পদত্যাগ পত্র জমা দিচ্ছি।
রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরো লিখেছেন, সবচেয়ে বড় কথা আমি অ্যাটর্নি জেনারেল থাকার সময় আমরা আইনের শাসনকে বলবত রেখিছি।
আলাবামার সাবেক এই সিনেটর প্রথম থেকেই ট্রাম্পের সমর্থক ছিলেন। সেশন্সের সঙ্গে ট্রাম্পের বিবাদ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের মার্চ মাসে।
তখনই সেশন্স রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে যে তদন্ত হচ্ছিল সেখান থেকে সরে আসেন এবং এই দায়িত্ব তার অধীনস্ত রড রোজেনস্টেইনকে দেন। এরপর থেকেই প্রকাশ্যে সেশন্সের বিরুদ্ধে নানা ধরণের সমালোচনামূলক কথা বলতে থাকেন ট্রাম্প।
২০১৭ সালে নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাতকার ট্রাম্প বলেন, তিনি এই তদন্ত থেকে সরে যাবেন এই কথা আমাকে আগে বললে, আমি তাকে এই দায়িত্ব তাকে দিতাম না। আমি অন্য কাওকে এই কাজের জন্য নিতাম।
আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে পরেই হয়তো সেশন্সকে বরখাস্ত করা হতে পারে। সূত্র: বিবিসি
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]