‘ফাদার অব দ্য তালেবান’ বলে পরিচিত রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতা সামিউল হকপাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি শহরে নিজ বাড়িতে অজ্ঞাত দুবৃত্তদের হামলায় নিহত হয়েছেন। তার স্বজন ও কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
তার ছেলে হামিদুল্লাহ বলেছেন, অজ্ঞাতনামা হত্যাকারীরা শুক্রবার তার রাওয়ালপিন্ডির বাড়িতে তাকে ছুরি মেরে হত্যা করে। তিনি তার কামরায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তিনি অসুস্থ ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, তার রক্ষী ১৫ মিনিটের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন ৮০ বছর বয়সী মৌলানা সাহেবের রক্তাক্ত দেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে।
সামিউল হক উত্তর পশ্চিম পাকিস্তানে একটি মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। তাকে তালেবান আন্দোলনের প্রধান নেপথ্য পুরুষ হিসেবে গণ্য করা হয়। কারণ এই আন্দোলনের প্রথম সারির নেতাদের শিক্ষক ছিলেন তিনি। পরে তিনি একটি দল থেকে পাকিস্তানে সিনেটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
সামিউল হক পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে দারুল উলুম হাক্কানিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন।
সামিউল হকের ছাত্রদের একজন ছিলেন তালেবান নেতা মোল্লা ওমর। পরে এই মোল্লা ওমরই তালেবান প্রতিষ্ঠা করেন। আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত ইউনিয়ন চলে যাওয়ার পর গৃহযুদ্ধ এবং চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে ১৯৯৬ সালে তালেবান ক্ষমতা দখল করে।
তালেবান আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্ক সত্ত্বেও সামিউল হক যে মাদ্রাসা চালাতেন, পাকিস্তানে সেটির কোনো অসুবিধা হয়নি। এটি পাকিস্তানের আঞ্চলিক সরকারগুলোর কাছ থেকে অর্থ বরাদ্দ পেত।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেছেন, পাকিস্তান এক গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী নেতাকে হারিয়েছে। সূত্র: বিবিসি ও আল জাজিরা
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]