মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির নোবেল পদক কেড়ে নেয়া হবে না। নরওয়ের নোবেল কমিটি বুধবার এ কথা জানিয়েছে।
কমিটি বলেছে, রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গা ‘গণহত্যা' নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সুচির নোবেল শান্তি পুরস্কার কেড়ে নেয়া হবে না। কারণ সুচি পুরস্কারটি বহু আগে তার অতীত অর্জনের জন্য পেয়েছেন।
জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় নোবেল বিজয়ী সুচি সরকার প্রধান হিসেবে নিজের ক্ষমতা কাজে লাগাননি অথবা তাদের রক্ষায় দায়িত্ব পালনে বিকল্পও অনুসন্ধান করেননি।
আইন প্রয়োগের নামে ভয়ঙ্কর অপরাধ সংঘটনের জন্য মিয়ানমারের সেনাপ্রধান এবং জ্যেষ্ঠ পাঁচ জেনারেলকে বিচারের মুখোমুখি করার সুপারিশ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর আবারো সুচির নোবেল শান্তি পুরস্কার বাতিলের দাবি জানানো হয়। রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন তিনি।
নরওয়ের নোবেল কমিটির সেক্রেটারি ওলাভ এনজোয়েলস্টাড বলেন, পদার্থবিদ্যা, সাহিত্য বা শান্তি যে কোনো ক্ষেত্রেই যখন কাউকে নোবেল দেয়া হয়, তখন তার এ পুরস্কার পাওয়ার মতো অতীত কোনো কাজ বা অর্জনের স্বীকৃতি স্বরূপই তাকে তা দেয়া হয়, এটি মনে রাখা জরুরি।
তিনি বলেন, ১৯৯১ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীনতার জন্য অং সান সুচি যে লড়াই করেছেন তার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে নোবেল দেয়া হয়েছে। ওই বছরই তিনি নোবেল পেয়েছেন। তাছাড়া যে নিয়মে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয় সেখানে পুরস্কার প্রত্যাহারের অনুমতি নেই।
রোহিঙ্গা সংকট সৃষ্টির পরপরই গত বছর নোবেল কমিটির প্রধান বেরিট রেইস-অ্যান্ডারসেনও একই কথা বলেছিলেন।
এর আগে সুচির ‘ফ্রিডম অব এডিনবরা’ পুরষ্কার ও ‘ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড’ সম্মাননা কেড়ে নেয়া হয়। সূত্র: গার্ডিয়ান
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]