শিরোনাম
বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানীতে এ কী কাণ্ড !
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০১৮, ১৬:৫২
বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানীতে এ কী কাণ্ড !
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

২০ বছর পর আবারও ফুটবলের বিশ্বকাপ জিতেছে ফ্রান্স। তাই ফরাশিরা আনন্দে দিশেহারা হবে - এটাই স্বাভাবিক। এবং তাই প্যারিসের শঁজেলিজে-তে বিশ্বকাপ জয় উদযাপনে হাজির হয়েছিল ৯০ হাজার মানুষ।


কিন্তু কেমন হওয়া উচিৎ ছিল সে উদযাপনটা, বিশেষ করে সেটা যখন হচ্ছে বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী নামে সম্মানিত প্যারিস নগরীতে!


সেটা হতে পারতো আনন্দে উচ্ছ্বল একটি অনন্য অনুষ্ঠান। কিন্তু তা না-হয়ে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ''মানুষের'' কারণে শুরু হয়ে যায় দাঙ্গা। অতি উৎসাহী ও উচ্ছৃঙ্খল কিছু লোক বিভিন্ন ভবনের জানালা ভেঙে ফেলে। কিছু দোকান লুটও করে তারা।


খেলা শেষ হওয়ার সাথে সাথে ফ্রান্সের জাতীয় পতাকার রঙে রঙিন হয়ে ওঠে আইফেল টাওয়ার। সেখানে ভেসে উঠছিল ১৯৯৮ ও ২০১৮, যে দুই বছর ফ্রান্স বিশ্বকাপ জিতেছে। বিশ্বকাপ জয়ের উন্মাদনা এত বেশি ছিল যে, অনেকে সব পোশাক খুলে শরীরে কেবল জাতীয় পতাকা জড়িয়ে নেয়। বিভিন্ন জায়গায় স্মোক বোমা ছোড়া হয়, যা থেকে ছড়িয়ে পড়ছিল ফ্রান্সের পতাকার তিনটি রঙ। গাড়িতে বাজছিল হর্ন আর পতাকা হাতে অনেকেই নেমে পড়েছিল রাস্তায়।


কেবল প্যারিস নয়, ফ্রান্সজুড়েই ছড়িয়ে পড়েছিল উন্মাদনা।


খেলা দেখার সময় কিশোর ও তরুণদের সবচেয়ে পছন্দের জায়গা ছিল শঁজেলিজে। ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে পরাজিত করার পর সেখানে তরুণদের ভিড় আরো বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে প্রায় ৯০ হাজার তরুণ-কিশোর-কিশোরী জড়ো হয় সেখানে।


সবকিছু ভালোই চলছিল, কিন্তু এক পর্যায়ে কিছু উচ্ছৃঙ্খল তরুণ আশপাশের দোকানের কাঁচ ভাঙা শুরু করে, বিভিন্ন ভবনের দিকে বোতল ছুড়তে এবং আশেপাশের থাকা অস্থায়ী বেড়াগুলো ভেঙে ফেলতে থাকে। এভাবে মধ্যরাতে এলাকাটি হঠাৎ রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।


ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় ৪,০০০ পুলিশ। জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। সূত্র : ডয়চে ভেলে


বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com