রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছিল মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এমএইচ-১৭। চার বছর আগে উড়োজাহাজটি ইউক্রেনের আকাশসীমায় ভূপাতিত করা হয়।
এতে অ্যামস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুরগামী বিমানের ২৯৮ জন যাত্রীর সবাই প্রাণ হারান।
নেদারল্যান্ডসের তদন্তকারীরা বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন, কুরুস্ক শহরে রাশিয়ার ৫৩ অ্যান্টি এয়ারক্রাফট ব্রিগেড থেকে ছোড়া হয়েছিল ওই ক্ষেপণাস্ত্র।
ওই ক্ষেপণাস্ত্রবাহী কনভয়ের মাধ্যমে কিভাবে মিসাইলগুলো পূর্ব ইউক্রেনের রুশ সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতে পৌঁছে দেয়া হয়েছিল, সে সম্পর্কে তদন্তকারীরা কিছু ছবিও প্রকাশ করেন। ইউক্রেন ও পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা এর আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন যে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহীরাই বিমানটিকে ভূপাতিত করেছে।
তবে রাশিয়া ও বিদ্রোহীদলগুলো বরাবরই ওই ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবারই এক বিবৃতিতে ওই অভিযোগের সত্যতা নাকচ করে দিয়ে বলেছে, এখন পর্যন্ত রুশ সেনাবাহিনীর একটি বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রও রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত অতিক্রম করেনি। আন্তর্জাতিক সমাজের চোখে রাশিয়ার গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করার জন্য এ ধরনের অভিযোগ আনা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে তদন্ত চালিয়ে ডাচ বিশেষজ্ঞরাও বলেছিলেন, তারা ঘটনাস্থলে এমন কিছু টুকরো পেয়েছেন যা সম্ভবত রাশিয়ায় তৈরি বাক জাতীয় ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো।
প্রায় চার বছর ধরে যৌথ তদন্তকারী দল (জেআইটি) এ ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে কাজ করছে। তদন্তকারী প্যানেল নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, মালয়েশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা রয়েছেন। সূত্র: বিবিসি
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]