রাসায়নিক অস্ত্র পরিদর্শকদের একটি টিমকে সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলাস্থল পরিদর্শনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তারা বুধবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে ইস্টার্ন ঘৌতার দুমা শহর পরিদর্শন করবেন। রাশিয়া এ কথা জানিয়েছে।
ওই টিম শনিবার থেকে সিরিয়ায় অবস্থান করছে। দুমায় ৭ এপ্রিল চালানো রাসায়নিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় সিরীয় সরকারি স্থাপনাগুলোতে এক যোগে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।
সিরিয়ার দু’টি বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে সোমবার রাতে আবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। সিরিয়ার সেনাবাহিনী মঙ্গলবার ভোরে জানিয়েছে, পশ্চিঞ্চালীয় হোমস শহরের আশ-শাইরাত ও দামেস্কের উত্তর-পশ্চিমে আদ-দুমাইর বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে নিক্ষিপ্ত নয়টি ক্ষেপণাস্ত্রের সবগুলো আকাশে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
সিরিয়ার সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, রাজধানী দামেস্কের নিকটবর্তী আদ-দুমাইর বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে তিনটি এবং হোমস প্রদেশের আশ-শাইরাত বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় যার সবগুলো ধ্বংস করে দেয় দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
এ হামলার বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন বলেছে, সিরিয়ায় এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে না।
এদিকে অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহেবিশন অব কেমিক্যাল ওয়াপনস্ (ওপিসিডাব্লিউ)’র তদন্তকারীরা দুমায় রাসায়নিক হামলার ১১ দিন পর বুধবার ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। তারা সেখান থেকে মাটি ও অন্যান্য উপাদান সংগ্রহ করবেন হামলা হয়েছে কি না তা জানতে।
তবে ওপিসিডাব্লিউয়ের মার্কিন প্রতিনিধি কেনেথ ওয়ার্ড সোমবার বলেছিলেন, আমরা ধারণা করছি রাশিয়ার সেনাবাহিনী ওই এলাকায় প্রবেশ করে রাসায়নিক হামলার প্রমাণ নষ্ট করে ফেলেছে।
তবে এই রাসায়নিক হামলার প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া। বিবিসির হার্ডটক অনুষ্ঠানে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, আমি দৃঢ়তার সঙ্গে একথা বলছি যে, দুমার রাসায়নিক হামলার স্থানে প্রমাণ নষ্ট করার জন্য কোনো তৎপরতা চালায়নি রাশিয়া। সূত্র: বিবিসি
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]