
গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এক সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২৮ জুন, শনিবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, 'আমি যুদ্ধবিরতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা বিশ্বাস করি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে।'
তবে তিনি যুদ্ধবিরতি নিয়ে কার সঙ্গে কথা বলেছেন, তা স্পষ্ট করেননি।
ট্রাম্পের এই যুদ্ধবিরতির পূর্বাভাস এমন এক সময়ে এলো, যখন গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে হত্যার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে এবং আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েল ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ছে।
যুদ্ধবিরতি বিষয়ে হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের অভিযান বন্ধ করা এবং দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারই হবে যুদ্ধবিরতির শর্ত।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলাকালে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি না ভাঙার নিশ্চয়তাও চায় তারা।
এদিকে, গাজা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ইসরায়েলের প্রভাবশালী হারেৎজ পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনা কমান্ডাররা ত্রাণের জন্য জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি চালানোর আদেশ দিয়েছিলেন।
একে 'যুদ্ধাপরাধের' প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ।
যদিও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে— মে মাসের শেষ দিক থেকে গাজায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের আশপাশে প্রায় ৫৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
তবে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের কার্যালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির কোনো অগ্রগতি নিয়ে তারা কিছু জানেন না।
ইসরায়েলের কৌশলবিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমারের আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে গাজা, ইরান ও নেতানিয়াহুর সম্ভাব্য হোয়াইট হাউস সফর নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তার আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজায় খাদ্য, পানি, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী প্রবেশে বাঁধা দেওয়ায় গাজার ২১ লাখ মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের মুখে।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]