পাকিস্তানে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীর বেশিরভাগই আফগানিস্তানের নাগরিক। ২০২১ সালে তালেবান সরকার পুনরায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করলে তারা পাকিস্তানে পালিয়ে আসেন।
অনথিভুক্ত শরণার্থী, যারা পাকিস্তান ছাড়তে চায়, তাদের কাছ থেকে ৮৩০ ডলার বা প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৩৮ রুপি করে নিচ্ছে দেশটি। যেসব ব্যক্তি কোনো ভিসা ছাড়াই পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে, তাদের কাছ থেকে এক্সিট ফি দেয়া হচ্ছে। খবর বিবিসি’র।
গত অক্টোবরে পাকিস্তান জানায়, তারা অনিবন্ধিত ১৭ লাখ বিদেশিকে দেশটি থেকে বের করে দেবে। পাকিস্তান ছাড়ার জন্য ওই অনিবন্ধিত শরণার্থীদের ১ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
শরণার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই আফগান। ২০০১ সালে তালিবানরা পুনরায় ক্ষমতা দখল করে নেওয়ার পর তারা আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নেয়।
তবে আদায়কৃত অর্থের এই পরিমাণটা সবার ক্ষেত্রে সমান নয়। তারা কতদিন অতিরিক্ত থেকেছেন তার ওপর ভিত্তি করে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। আবার যারা আফগানিস্তানে ফিরে যাচ্ছে, তাদের কাছ থেকে এক্সিট ফি নেয়া হচ্ছে না।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো বিভিন্ন মানবাধিকার গ্রুপ বলছে, তালিবানের হাতে কাবুলের পতন হওয়ার পর বহু আফগানি যারা পাকিস্তানে এসেছে এসেছিলেন, তাদের কাগজপত্র পেতে দেরি হয়।
পাকিস্তানি শরণার্থী কনভেনশনের অংশ নয়। দেশটি বলছে, পাকিস্তানের সীমান্তের ভেতর বসবাসকারী কোনো আফগান শরণার্থীকে তারা স্বীকৃতি দেয় না।
পাকিস্তানের একজন শীর্ষ কূটনীতিক এ ধরনের ফি আরোপে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কারণ মানবিক কারণে এসব শরণার্থীদের অন্যত্র স্থানান্তর করতে গিয়ে এই ফি নেয়া হচ্ছে।
ওই কূটনীতিক বলছিলেন, পাকিস্তান সরকার তাদের এ নীতিটি পর্যালোচনা করতে পারে এমন কিছু প্রাথমিক ইঙ্গিত ছিল।
তবে, পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ বিবিসির সাথে নীতি পর্যালোচনার সম্ভাবনা নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বিবিসিকে বলেছে, তারা ‘ইস্যুটি সমাধান করার’ চেষ্টা করছে।
সংস্থাটি বলেছে, আমরা পাকিস্তান কর্তৃপক্ষকে শরণার্থীদের সাথে এরূপ না করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। পাকিস্তান সরকার এবং তার জনগণের আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় ও সুরক্ষা প্রদানের একটি প্রশংসনীয় দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, এটি অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশের অভিবাসন আইনের মতো পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী যারা ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করেছে কিংবা অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করেছে সেসব শরণার্থীদের জরিমানা ও শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান যে জরিমানা আরোপ করেছে বা করবে তা আমাদের আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]