রাশিয়ার দাগেস্তানের বিমান বন্দরে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভের পর আবারও আলোচনায় ইহুদি বিদ্বেষ ইস্যুটি। গাজায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পর পশ্চিমা দেশগুলোতে বেড়েছে ইহুদি বিদ্বেষ। এরমধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই অ্যান্টি সেমিটিজম বেড়েছে ৪০০ গুণ।
জার্মানি-কানাডা-ব্রিটেনসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ ইহুদি বিদ্বেষ রুখতে নানা কড়াকড়ি আরোপ করেছে। তবুও জনগণের আক্রোশ কমানো যাচ্ছে না। সরাসরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ হচ্ছেন দেশগুলোর সাধারণ মানুষ।
বিশ্লেষকদের মত, নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নেরই ফসল এই বিদ্বেষ।
গত রবিবার দাগেস্তানের মাখাচকালার বিমানবন্দরে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ প্রতিবাদ করেন স্থানীয় মুসলিমরা। তেলআবিব থেকে ইসরায়েলি যাত্রী নিয়ে একটি ফ্লাইট অবতরণের তথ্য পেয়ে বিমানবন্দরে ঢুকে পড়েন শতশত মানুষ। ইসরায়েলি বা ইহুদি যাত্রীর সন্ধানে গোটা বিমানবন্দরে চলে খোঁজ ও ভাঙচুর।
ওই ঘটনার পর আবারও আলোচনায় বিশ্বজুড়ে চলমান ইসরায়েল বিরোধীতার ইস্যুটি। জরিপ বলছে, গত কয়েকদিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে ইহুদি বিদ্বেষ বেড়েছে। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তিন শতাধিক ইহুদি বিদ্বেষের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
এ নিয়ে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারিন জ্যঁ পিয়েরে বলেন, গত কয়েকদিনে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আমরা যে ইহুদি বিদ্বেষ দেখেছি তা উদ্বেগজনক। অনেক মানুষই এই বিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন। সাধারণ নাগরিক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অনেককেই হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যক্ষেণ করছি। যারা যারা এ ধরনের ঘৃণা ছড়াচ্ছেন এবং হুমকি দিচ্ছেন তাদেরকে নজরদারির আওতায় আনা হবে।
৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে এর প্রতিবাদে পশ্চিমা দেশগুলোতে যে বিক্ষোভ চলছে তা নজিরবিহীন। মার্কিন নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক হ্যারল্ড চেম্বার্স বলেন, ফিলিস্তিনের পক্ষে কোথাও কোনো প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ সমাবেশ হলেই তা ধামাচাপা দেয়া কিংবা তাতে কড়াকড়ি আরোপ করা হতো। এটাই এতদিন হয়ে এসেছে। কারণ রাষ্ট্রগুলো এই ভয় পাচ্ছে যে, এতে করে ব্যাপক জনক্ষোভের সৃষ্টি হতে পারে।
দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিশ্চিত না হলে ইসরায়েল বিরোধীতা সময়ের সাথে সাথে আরও বাড়বে বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]