মালিতে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে নিহত ৫৬
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:৫৩
মালিতে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে  নিহত ৫৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের প্রস্থানের জেরে মালির উত্তরাঞ্চলে তুয়ারেগ বিদ্রোহীদের সাথে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের তালিকায় আছে ১০ জন সেনা এবং ৪৬ জন বিদ্রোহী যোদ্ধা।


রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কোঅর্ডিনেশন অব আজওয়াদ মুভমেন্টস (সিএমএ) নামক একটি জোট গত আগস্ট মাস থেকে মালির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের প্রস্থানের বিষয়কে কেন্দ্র করে এই লড়াই শুরু হয়। যদিও জাতিসংঘের ওই শান্তিরক্ষা মিশন বছরের পর বছর ধরে ভঙ্গুর পরিস্থিতিতে হলেও দেশটিতে শান্তি বজায় ছিল।


কিন্তু জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের সম্প্রতি খালি করে দেওয়া অঞ্চলগুলোতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্রতর হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।


মালির সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, মঙ্গলবার তার পক্ষে থাকা ১০ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন এবং বোরেমের কাছে তারা একটি আক্রমণ প্রতিহত করেছে। এছাড়া অভিযানের সময় ৪৬ শত্রু যোদ্ধাও নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।


এর আগে সিএমএ মুখপাত্র মোহাম্মদ এলমাউলউদ রামাদান বলেছিলেন, বোরেমে একটি সামরিক ক্যাম্প দখল করার জন্য সিএমএ-এর লড়াইয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে ওই সংঘর্ষে ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন তা উল্লেখ করেননি তিনি।


এলমাউলউদ রামাদান বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করছি, খুব মারাত্মক লড়াইয়ের পর সকাল ১০টার দিকে সিএমএ যোদ্ধারা ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল।’


তিনি পরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সিএমএ তাদের অবস্থান থেকে পিছু হটেছে এবং সেনাবাহিনী বোরেম শহর দখল করে নিয়েছে। ক্যাম্পটি দখলে রাখা বিদ্রোহী গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি।


অতীতে সিএমএ’র কৌশল ছিল অস্ত্র, যানবাহন এবং গোলাবারুদ নেওয়ার জন্য সামরিক শিবিরগুলোতে আক্রমণ করা। যদিও মঙ্গলবারের সংঘর্ষের সময় তেমনটি ঘটেছিল কিনা তা স্পষ্ট করেননি তিনি।


মালির সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেছেন, বোরেমের চারপাশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া বেঁচে থাকা বিদ্রোহীরা উত্তর দিকে পিছু হটেছে বলেও মঙ্গলবার রাতে দেওয়া বিবৃতিতে জানিয়েছেন তিনি।


গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, মালির উত্তরাঞ্চলের আধা-যাযাবর তুয়ারেগ জনগোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে সিএমএ গঠিত হয়েছিল। এসব মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সরকারি অবহেলার অভিযোগ করে আসছেন এবং তাদের মরুভূমি অঞ্চলের জন্য স্বায়ত্তশাসন দাবি করে আসছেন।


উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকে মালি শাসন করছে সামরিক জান্তা। নিরাপত্তাহীনতা বাড়তে থাকায় দেশটিতে ২০২০ ও ২০২১ সালে পরপর দুটি অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকার কেইতার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের পর জান্তা যখন ক্ষমতা দখল করে তখন তাদের পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন ছিল। তথ্যসূত্রঃ রয়টার্স


বিবার্তা/পুলক/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com