বিরোধপূর্ণ সীমান্তে চলমান উত্তেজনা হ্রাসে একমত হয়েছে এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীন। বুধবার (২৩ আগস্ট) ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে হওয়া এক বৈঠকে এ বিষয়ে একমত হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিনয় কোয়াত্রা জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকসের সম্মেলনের ফাঁকে গত বুধবার আলোচনায় বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ওই বৈঠকে দুই নেতা সীমান্ত উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে একমত হন।
মোদীর অনুরোধে ওই বৈঠক হয় বলে দাবি করে বেইজিং। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চীনের অনুরোধেই এ বৈঠক হয়েছে।
তিন বছরের বেশি সময় ধরে সীমান্তে চীন-ভারত উত্তেজনা তীব্র রূপ নিয়েছে। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির এই দুই পরাশক্তি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে হিমালয় অঞ্চলে প্রায় ৩,৪৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। যে সীমান্তের বেশিরভাগ অংশ নির্ধারিত নয় এবং যেটি দ্য লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) নামে পরিচিত।
এই এলএসি বরাবর দুই দেশের সেনাদের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাসে পদক্ষেপ গ্রহণে উভয় পক্ষ রাজি হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারত-চীন সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে সীমান্ত এলাকায় শান্তি এবং স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখা এবং এলএসি পর্যবেক্ষণ করা ও এ ব্যবস্থার সম্মান করা জরুরি বলে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছেন।
বৈঠকের বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেতা বর্তমান চীন-ভারত সম্পর্ক ও যৌথ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে খোলাখুলি ও বিশদ মতবিনিময় করেছেন।
এই দুই নেতা এর আগে ২০২২ সালে জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে সর্বশেষ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছিলেন। আগামী ৯ ও ১০ই সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে জি-২০ এর পরবর্তী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যে সম্মেলনে অংশ নিতে শি ভারতে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]