ইউরোপের দেশ গ্রিসে মঙ্গলবার দুই ট্রেনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭ জন হয়েছে। গত কয়েক যুগের মধ্যে দেশটির ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা।
ট্রেন দুর্ঘটনার পর গ্রিসে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, দুর্ঘটনাটি পরিকল্পিত। এথেন্সে গ্রিসের রেলওয়ে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দায়ী কোম্পানি হেলেনিক ট্রেনের সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
৩৫০ যাত্রী নিয়ে একটি ট্রেনের মঙ্গলবার মধ্যরাতের ঠিক আগে একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এখনো উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন কর্মীরা।
ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ ও তদন্তের দায়িত্বে থাকা ইলেনি জাগেলিদু বলেছেন, এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭। তাদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে, সরকারের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার একদিনের ধর্মঘট পালন করেছে রেল শ্রমিকরা। দুর্ঘটনার জেরে প্রতিবাদ জানিয়ে এথেন্স ও থেসালোনিকিতে দুই হাজারের বেশি মানুষ দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে।
এথেন্সের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, ‘আমরা কোম্পানির প্রতি, সরকার এবং অতীতের সরকারগুলোর কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ। তারা গ্রিক রেলওয়ের অবস্থার উন্নতির জন্য কিছুই করেনি।’
সরকারের একমন্ত্রী বলেছেন, ২০০০ সালের পর থেকে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে রেল ব্যবস্থাপনা বিনিয়োগের অভাবে ভুগছিল।
হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে গ্রিসের স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী জো রাপ্তি বলেন, ২০১০ সালের দিকে গ্রিসে ঋণ সংকটের কারণে রেল নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছিল। ঘটনার সঠিক তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
লারিসার একজন ৫৯ বছর বয়সী স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি দুর্ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানান তার আইনজীবী। তবে তিনি একমাত্র দায়ী নন বলেও দাবি তার।
সূত্র: বিবিসি
বিবার্তা/মাসুম/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]