যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় তিন রাজ্য মিসিসিপি, অ্যালাবামা ও জর্জিয়ায় একের পর এক টর্নেডোর আঘাতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ জন মানুষের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে রয়টার্সের কাছে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই তিন অঙ্গরাজ্যের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
দেশটির কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের জেষ্ঠ্য আবহাওয়াবিদ জেসিকা লাওস জানান, বৃহস্পতিবার মিসিসিপি থেকে অন্তত ৫টি টর্নেডো অ্যালাবামা-জর্জিয়া পার হয়ে আটলান্টিকের উপকূলের দিকে গেছে। এসব ঝড়ের মধ্যে একটির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৪১ কিলোমিটার। বাকিগুলোর গতিবেগও ছিল ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝড়ের তাণ্ডবে মিসিসিপি, অ্যালাবামা ও জর্জিয়ার বিভিন্ন এলাকায় মৃত্যুসহ ধ্বংস হয়েছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি এবং তিন অঙ্গরাজ্যের কয়েক লাখ মানুষ এখনও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন।
জর্জিয়া সীমান্তবর্তী অ্যালাবামার সেলমা জেলার প্রশাসক বুস্টার বারবার রয়টার্সকে বলেন, টর্নেডোর আঘাতে জেলার বেশ কিছু এলাকা রীতিমতো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
‘সেলমার বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তুপের ভেতরে আরও কোনো মৃতদেহ আটকে আছে কিনা— নিশ্চিত হতে আমাদের উদ্ধারকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপরতা চালাচ্ছে,’ রয়টার্সকে বলেন তিনি।
এছাড়া জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সেখানকার গভর্নর ব্রায়ান কেম্প। বাকি ২ জন মারা গেছেন মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে।
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, টর্নেডোতে সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অ্যালাবামা অঙ্গরাজ্যে। রাজ্যের ছয় জেলা আটাউগা, চেম্বার্স, কুসা, ডালাস, এলমোর ও তাল্লাপুসায় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন গভর্নর কেই আইভি।
বিবার্তা/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]