
ভারতের বিহার রাজ্যের পাটনায় একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন স্কুলের নর্দমা থেকে তিন বছর বয়সী এক শিশুর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়ার পর উত্তেজিত জনতা সড়কে বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
১৭ মে, শুক্রবার শিশুটি স্কুল থেকে বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবার তাকে খুঁজতে শুরু করে।
প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, তিন বছরের সেই শিশু স্কুল থেকে বাড়ি না ফিরলে শুরু হয় অনুসন্ধান। তার পরিবারের সদস্যরা স্কুলটিতে পৌঁছালে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিশুটির অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। এতে পরিবারের সদস্যদের মাঝে সন্দেহ তৈরি হয়, বেড়ে যায় উদ্বেগ।
স্কুল প্রাঙ্গণেই হন্যে হয়ে শিশুটিকে খুঁজতে থাকে তার পরিবার। অবশেষে খুঁজে পাওয়া যায় শিশুর লাশ। স্কুলের সীমানার মধ্যেই একটি নর্দমার মধ্যে লুকিয়ে রাখা শিশুটির মরদেহ খুঁজে পান তার পরিবারের সদস্যরা।
তখন মৃত শিশুটির পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা বিচারের দাবিতে সড়কে বিক্ষোভ এবং ভাঙচুর শুরু করে। তারা সড়কে কয়েকটি যানবাহনে এবং স্কুলের একাংশে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে।
পাটনা পুলিশের মহাপরিদর্শক চন্দ্র প্রকাশ বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে আমরা দেখেছি, শিশুটি স্কুলে প্রবেশ করছে। কিন্তু কোনো সময়েই তাকে স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে বের হতে দেখা যায়নি। আমরা এটিকে হত্যা মামলা হিসেবে তদন্ত করব। কারণ, তারা (স্কুল কর্তৃপক্ষ) লাশটি লুকিয়ে রেখেছিল। এখানে অপরাধমূলক উদ্দেশ্য প্রকাশ পাচ্ছে। এর মধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
এদিকে, এ ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে শিশুটির পরিবার ও তাদের সম্প্রদায়ের মানুষ। বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং স্কুলের দেয়ালের কিছু অংশে আগুন দিয়েছে। বিক্ষুব্ধ জনতা স্কুলে যাওয়ার রাস্তাও অবরোধ করে রেখেছে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]