গত বছরের ডিসেম্বরে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের পর করোনার সব কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে চীন। এরপরই দেশটিতে সংক্রমণ বেড়ে যায়। তবে এরমধ্যেই এশিয়ার এই দেশটি নিজেদের সীমান্ত খুলে দেয়।
সীমান্ত খুলে দেয়ার পর এ নিয়ে শঙ্কা ছড়িয়েছে চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ে। সেখানকার বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন চীনের নতুন ধরন তাদের এখানেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। মূল ভূখণ্ডের চীনারা হংকংয়ে করোনার কোনো ধরন ছড়িয়ে দেন এ নিয়ে আতঙ্ক কাজ করছে তাদের মধ্যে। আর এ আতঙ্ক থেকে ওষুধ কিনে ফার্মেসিগুলো ফাঁকা করে ফেলছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা গত ৭ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওষুধ কেনার হিড়িক পড়ায় এখন হংকংয়ের ফার্মেসিগুলোতে জ্বর, ঠাণ্ডা, ব্যথানাশক ও ডায়রিয়া রোগের ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এখন একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিমাণ ওষুধ কিনতে পারবেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ভয়েস অব আমেরিকা।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, চীনে কয়েকদিন আগে ওষুধের ফার্মেসিগুলোতে যে ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল এখন হংকংয়ের অবস্থাও ঠিক একই রকম। যেসব ওষুধ করোনার চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভালো হবে মনে করা হচ্ছে সাধারণ মানুষ সেগুলোই কিনছেন।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি ঘোষণা দেন, চীন থেকে আসা পর্যটকদের জন্য বাধ্যতামূলক পিসিআর করোনা পরীক্ষার বিষয়টি বাতিল করে দেবেন তারা।
এদিকে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ান ইতিমধ্যে চীনের ভ্রমণকারীদের ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন দেশ উদ্বেগ জানালে চীন উল্টো করোনার সব ধরনের তথ্য প্রকাশ স্থগিত করে দিয়েছে।
বিবার্তা/বর্ষা/কেআর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]