আমার প্রকৌশলী ও স্থপতি বন্ধু বড় ভাইরা ভাববেন একটু?
গুলশান-১ এ শ্যুটিং ফেডারেশনের উলটা দিকে শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি পার্ক। এই পার্কে হাঁটতাম।
হঠাৎ করোনার সময় ২০২০ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বলা হল উন্নয়ন হচ্ছে। এতদিন পর পার্ক খুলেছে, যদিও উন্নয়ন কাজ শেষ হয়নি।
এই পার্কটি ছিল প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠা। সিটি করপোরেশন পরবর্তীতে ভেতরে ওয়াকওয়ে বানায়, নারী পুরুষের আলাদা টয়লেট সুবিধা করে দেয়, বসার জন্য কিছু বেঞ্চ বসায়। কিছু ফুলগাছও লাগায়। চমৎকার আয়োজন। পার্কের এ মাথা থেকে আরেক মাথা দেখা যেত না যে এত গাছ। এবার খোলার পর দেখি সেই গাছ নাই। একদম ফাঁকা। প্রায় সব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ওয়াকওয়ে গুলো আঁকাবাঁকা। স্বাভাবিক দেয়াল তুলে দিয়ে তৈরি হল কাঁচের দেয়াল।
পার্কটিতে হাত দেওয়ার কোন প্রয়োজনই ছিল না। উন্নয়নের নামে গাছগুলো সাবাড় করা হয়েছে।
মেয়রকে অবশ্যই আমি দোষ দিব গাছ কাটায়। কিন্তু এসব প্রকল্পে যেসব প্রকৌশলী, স্থপতি, পরিকল্পনাবিদ জড়িত থাকেন তারা তো সেরা ছাত্র তাদের সময়ের। এরা গাছ কাটার পরামর্শ দেন কী করে?
পার্কের দেয়াল কাঁচের, এটাই বা কোন দুনিয়ায় দেখেন তারা? প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠা একটা বৃক্ষ অঞ্চলকে কেটে রক্তাক্ত করতে এদের এতটুকু খারাপ লাগে না? এসব দেখে দেখে প্রকৌশলী, স্থপতি, পরিকল্পনাবিদ দের মন, মগজ, মানসিক সুস্থতা, সক্ষমতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
এদের কাছে তাহলে উন্নয়ন মানেই প্রকৃতির এই করুণ বিপর্যয়? প্রকৃতিকে অগ্রাহ্য করে উন্নয়ন যে মূর্খামি এটা কবে বুঝবে এসব মেধাবীরা?
(ফেসবুক ওয়াল থেকে)
লেখক : সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, গ্লোবাল টেলিভিশন।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]