আমাদের দেশে বেশিরভাগ হাসপাতালেই শিশু ভর্তি করলে বাবা মাকে সাথে থাকতে দেয় না। শিশুর সাইকোলজি বড়দের মতো না তাই ডাক্তারদের উচিত শিশুর সাইকোলজি আগে বোঝা তারপর চিকিৎসা দেওয়া।
আবার এক শিশুর সাথে আরেক শিশুর সাইকোলজিক্যাল অনেক পার্থক্য থাকে যে পার্থক্য বয়স্কদের মধ্যে খুব একটা থাকে না। তাই শিশুদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে যে পরিমাণ কেয়ারফুল থাকার দরকার সেটা অত্যন্ত দুঃখের সাথে ও উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে সেটা কোনো ডাক্তার, নার্স বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমলে নেন না । বাচ্চাদের সাথে অবশ্যই CCU হোক আর ICU হোক আর এমনকি বাচ্চাদের অপারেশন কক্ষই হোক সকল জায়গায় বাবা মা থাকাটা জরুরি।
তাই ওরকম স্থানে যেন মা বাবা থাকতে পারে সেভাবেই ওগুলো তৈরি করা উচিত । বেশিরভাগ বাচ্চাই ভয়ে ও আতংকে মারা যাচ্ছে । বাবা মা পাশে থাকলে হাসপাতালে ভর্তি শিশু মৃত্যুর হার ৯০% কমে যেতে পারে।
বয়স্কদের এবং শিশুর চিকিৎসা পদ্ধতি এক হতে পারে না কিন্তু দুঃখের সাথে লক্ষ্য করে যাচ্ছি বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাতে সবাইকে একইভাবে ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়। যে শিশু চলে যায় সে হয়তো আপনার জন্য একজন শিশু মাত্র কিন্তু ঐ পরিবারে সেই শিশু মানেই সমগ্র পৃথিবী ।
লেখক : মহিদুল ইসলাম, ডেপুটি কমিশনার, ন্যাশনাল বোর্ড অফ রেভিনিউ, বাংলাদেশ।
(ফেসবুক ওয়াল থেকে)
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]