
নারীতো সবই পাচ্ছে! কোথাও কোথাও বরং বেশীই পাচ্ছে! তাহলে আর নারী দিবস কেন? এ ধারনার মধ্য দিয়ে আসলে শিক্ষিত সমাজের একাংশ আজও জ্ঞানপাপীই থেকে গেলো। নইলে এ প্রশ্ন আসে কি করে? অনেকের ধারণা, শতবর্ষ আগে পালিত আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী দিবসের সাথে বর্তমানে পালিত বিশ্ব নারী দিবস কতটা প্রাসঙ্গিক? কিংবা এখন আর নারী দিবসের প্রাসঙ্গিকতা কি? এমন প্রশ্নের জবাবে আমি যদি পাল্টা প্রশ্ন করি যে, বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালনের দরকারটা কি? ওগুলো ওতো অনেক আগের স্যাটেলড ইস্যু। এখন আর এর প্রাসঙ্গিকতা কি? নেহায়েত বদ্ধ উম্মাদ ছাড়া তাই এমন প্রশ্ন করাটা অবান্তর।
মনে রাখতে হবে, অর্জিত স্বাধীনতা/বিজয় কিংবা ভাষার অধিকার আদায়ে এদেশের নারী পুরুষ উভয়ের ভূমিকা সমান। কোনও ক্রমেই নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এসব অর্জন করা সম্ভব ছিল না। আর জাতীয় দিবস পালনের মধ্য দিয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সেই চেতনা, ভাবধারা ও দেশপ্রেম ছড়িয়ে দেয়া হয়। আমাদের কাছে জাতীয় দিবসের যেমন ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে, নারী দিবসেরও তেমন রয়েছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। নারী দিবসের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে তাই প্রশ্নটিই অপ্রাসঙ্গিক। এই দিনটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ভুলে গেলে চলবে না।
এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবস (IWD) ২০২৩-এর থিম ‘DigitALL: লিঙ্গ সমতার জন্য উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি। টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত লিঙ্গ সমতা। আর উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি ছাড়া আধুনিক বিশ্বে নারী–পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তাই প্রযুক্তিতে নারীর সুযোগ বাড়াতে হবে। নারীর কাছে পৌঁছাতে হবে প্রযুক্তি। সে লক্ষ্যে প্রযুক্তির ভাষা হতে হবে সহজ। বাড়াতে হবে ডিভাইসের সহজলভ্যতা। কমাতে হবে ইন্টারনেটের ব্যয়। প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে বাড়তে থাকা অনলাইন সহিংসতা থেকেও সুরক্ষিত রাখতে হবে নারীকে। নারী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য সফল হোক। ভালো থাকুক আমার মা, আমার স্ত্রী, আমার বোন, আমার কন্যাসহ জগতের সকল নারী। শুভ হোক ৮ই মার্চ। শুভ হোক আন্তর্জাতিক নারী দিবস। জয় বাংলা।
(ফেসবুক থেকে নেয়া)
লেখক : প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দীন মিতুল, ডিন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
বিবার্তা/এমএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]