করোনাভাইরাসে আক্রান্তের যে সরকারি সংখ্যা তা নিঃসন্দেহে আন্ডারএস্টিমেটেড। সরকারি রাখঢাক বাদ দিলেও এর মূল কারণ লজিস্টিক। টেস্ট কিটের অপ্রতুলতা, উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা ল্যাবের অনুপস্থিতি, দক্ষ টেকনিক্যাল জনবল, যন্ত্রপাতির বিচ্ছিন্ন সরবরাহ ব্যাবস্থাপনা, টেস্টের অতি উচ্চ ব্যয়ে অর্থের সংকট ইত্যাদি ছাড়াও আছে হিউম্যান ওয়্যার ব্যবহারে অনভিজ্ঞতা ও অদক্ষতা। সর্বোপরি আছে সরকার ও সরকারি প্রশাসনযন্ত্রের ঔপনিবেশিক ধারার মন্থরতা ও বাগাড়ম্বর। আর বেসরকারি খাতের রয়েছে সংকটকালে প্রফিট হান্টিং-এর লুম্পেন মানসিকতা।
বাংলাদেশের এই পৌনঃপুনিক সমস্যার মূলে রয়েছে রাষ্ট্র ও সমাজজীবনের সর্বত্র যোগ্য ও দক্ষ লোক চয়নে ব্যর্থতা। কারণ এদেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাসা বেঁধেছে ভয়াবহ আঞ্চলিকতা আর স্বজনপ্রীতি। মনে রাখতে হবে যোগ্য মানুষেরা অর্থের কাছে বিক্রি হন না, নিজের ঢোল পিটাতেও তাদের রয়েছে প্রবল অনীহা। সুতরাং রাষ্ট্রযন্ত্রকেই যোগ্য ও কর্মদক্ষ মানুষকে চয়ন পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
না হলে সংকটকালে শাক দিয়েই মাছ ঢাকতে হবে। ঠিক এখন যা হচ্ছে।
তোরাব রহিমের ফেসবুক থেকে পাওয়া
বিবার্তা/জাহিদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]