শিরোনাম
সাবধান হোন, কিন্তু পেনিক হবেন না
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২০, ১৫:৫৩
সাবধান হোন, কিন্তু পেনিক হবেন না
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

এটা পড়েন, চিন্তা করেন এবং সিদ্ধান্ত নিন। কি করবেন? Economyকে paralyzed করবেন না চলমান রাখবেন। social media now is a big threat for our economic and social mobility.


****২০০৩ সালে সারস ভাইরাসে অ্যাটাক করেছিলো প্রায় ২৬ টি দেশ। মৃত্যুহার ছিলো ১০%।


****২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুতে ৫৭ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত হয়। মৃত্যুহার ৪.৫%


****২০১৪ সালে ইবোলায় মৃত্যুহার ২৫% । মারা যায় ১১,৩১০ জন।


****আর ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুহার মাত্র ২%। মারা গেছে এ পর্যন্ত ৩০৫২ জন।


এই যখন ঘটনা। তখন করোনা ভাইরাসে দুনিয়া ব্যাপী এতো আতঙ্ক ছড়ালো কেন? কেন ইতালি, চায়না, হংকং এর এয়ারপোর্ট একেবারে জনশূন্য হয়ে গেলো। গ্রোসারি মার্কেট, হোলসেলের দোকান একেবারে স্টক শূন্য হয়ে গেলো। কেন প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ডলার শেয়ার মার্কেটে রাতারাতি ক্রাস হয়ে গেলো। কেন ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিতে ব্যাপক ধ্বস নামলো?


কারণ হলো সংবাদ কনজিউমের পুরো ন্যাচারটিই দুনিয়াব্যাপী খুব দ্রুত বদলে গেছে।


**২০০৩ সালে ফেসবুক , হোয়াটসআপ ছিলোনা। যখন সারস ভাইরাসে ২৬ টি দেশ আক্রান্ত হয়।
২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুর সময় দুনিয়াব্যাপী ফেসবুক ব্যবহারকারী ছিলো মাত্র ১৫০ মিলিয়ন।


**২০১৪ সালে ইবোলার সময় হোয়াটস্যাপ ব্যবহার কারী মাত্র ২৫০ মিলিয়ন।


**আর ২০২০ সালে অন্যান্য মিডিয়া বাদ শুধু ফেসবুক আর হোয়াটসআপ ব্যবহার করছে লাখ, কোটি, মিলিয়ন না। প্রায় চার বিলিয়ন মানুষ।


**স্যাশালমিডিয়ার এই শক্তি ব্যাপক। প্রতি সেকেণ্ডেই খবর ছড়াচ্ছে। কথায় বলে দুঃসংবাদ ঘোড়ার আগে ছুটে। একটা ভাইরাসে একজন মানুষের মৃত্যু সংবাদ এখন মুহূর্তেই বিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।


**সুতরাং মানুষ তো আতংকিত হবেই। দূর বলতে এখন আর কিছুই নেই। চায়নার উহানের দুর্ঘটনাকে মনে হবে আপনার পাশের বেডরুমেই ঘটছে। মিডিয়া পাওয়ারই দুনিয়াব্যাপী মানুষকে আতংকিত করেছে এবং গ্লোবাল ইকোনিমিতে ধ্বস নামিয়েছে।


ওয়ার্ল্ড হেলথের অর্গের মতে-সাবধান হোন। আতংকিত হবেন না।


*****আপনার বয়স যদি ৫০ এর নীচে হয় তবে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ০.০২%


****৫০ এর ওপরে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ১.৫% তাও যদি শ্বাসকষ্ট থাকে। যত লোক মারা গেছে তাদের ৯৮% এর বয়স ৮০ এর ওপরে।


****আর আমরা তো পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত নগরের বাতাস প্রতি সেকেণ্ডে গ্রহণ করে , ফরমালিন যুক্ত খাবার দিনে তিন বেলা পেটে চালান করে, ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসের গোডাউনে বাস করে-মশা মাছির উপদ্রবকে নিত্য সাথী করে আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে ইস্পাতের মতো শক্ত করে নিয়েছি। আমাদের সাথে পাল্লা দিতে হলে বরং করোনা ভাইরাসকেই মাস্ক পরে আগাতে হবে। সুতরাং এতো পেনিক হওয়ার কিছু নেই।


ভাইরাস যদি বাতাসে উড়তো আর যে ভাবে পেনিক ছড়িয়েছে সেভাবে সংক্রমিত হতো আর সংক্রমণের সাথে সাথে মানুষ মারা যেতো তবে দেশে দেশে এতোক্ষণে লাশের পাহাড় হয়ে যেতো। তাই পেনিক হওয়া যেমন ঠিক না। আবার একেবারে এটি খুব সিম্পল একটা ব্যাপার এরকম ভেবে অবহেলা করে মৌজ মাস্তি করাও ঠিক না।


কথায় বলে সাবধানের মার নেই। সাবধান হোন। কিন্তু পেনিক হবেন না। পেনিক ছড়াবেন না।


আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর ফেসবুক থেকে...


বিবার্তা/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com