খোলাবাজারে হাত বাড়ালে ডলার মিললেও ব্যাংকে হাহাকার। রাজধানীর মতিঝিলের দিলকুশায় সোনালী ব্যাংকের ওয়েজ আর্নার করপোরেট শাখা ও বেশ কিছু মানি চেঞ্জার পাশাপাশি মানি চেঞ্জারগুলোতে লেনদেন স্বাভাবিক। প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ ডলার বিক্রি করছেন। আবার কেউ কিনছেন। দাম বেশি হলেও কেউ ফেরেন না খালি হাতে। মেলে চাহিদা মতোই। তবে, এর ঠিক উল্টো চিত্র সোনালী ব্যাংকের শাখাটিতে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকে ডলারের দাম বাড়ানো হলে বেড়ে যায় খোলা বাজারেও। দরের পার্থক্য বেশি হওয়ায় হুন্ডিতে ঝুঁকছেন অনেক প্রবাসী। অর্থনীতিবিদদের মতে, হুন্ডি ও অর্থ পাচার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা ছাড়া প্রবাসী আয়ে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি সম্ভব নয়।
সোনালী ব্যাংকের ওয়েজ আর্নার করপোরেট শাখার ডিজিএম জহুরুল ইসলাম বলেন, এখানে নগদ ডলার বিক্রি করতে তেমন কেউ আসেন না। কারণ বিক্রি করতে হয় অনেক কম দামে। এই শাখায় ব্যাপকভাবে কমেছে রেমিট্যান্স আসাও।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, গত জুলাইয়ে এই শাখায় প্রবাসী আয় আসে ৯৫ কোটি টাকা। গত মাসে যা কমে দাঁড়ায় ৪৩ কোটিতে।
প্রবাসী আয় ব্যাপকভাবে কমেছে দেশের সব ব্যাংকেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, গত সেপ্টেম্বরে বৈধপথে আসে মাত্র একশ ৩৪ কোটি ডলার। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম আবারও বাড়ানো হয় আড়াই শতাংশ। এরপর খোলাবাজারেও বাড়ে দাম। সোমবার ডলার কেনাবেচা হয় একশ ১৯ থেকে ২০ টাকায়।
ব্যাংকারদের মতে, বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে নিতে হবে ত্রিমুখী পদক্ষেপ। অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার ও বিদেশে ব্যাংকিং সেবার প্রসার বাড়াবে রেমিট্যান্স।
অর্থনীতিবিদদের মতে, অর্থ পাচারের প্রবণতা ও নিয়ন্ত্রণমূলক বাজার ব্যবস্থা কারণে প্রবাসী আয় আসছে অবৈধপথে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]