এশিয়ার বাজারে হুহু করে বাড়ছে চালের দাম। বর্তমানে বিশ্ব বাজারে টন প্রতি ৬৪৮ ডলারে বিক্রি হচ্ছে সাদা চাল, যা গত ১৫ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম। অর্থনীতি বিষয়ক শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, গত ২০ জুলাই বাসমতি ছাড়া সবধরনের চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করে ভারত। এরই মধ্যে শুষ্ক আবহাওয়ায় থাইল্যান্ডে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে বৈশ্বিক সরবরাহ কমার উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে এশীয় বেঞ্চমার্ক থাই ৫ শতাংশ ভাঙা সাদা চালের দর আরও বেড়েছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৬৪৮ ডলারে। ২০০৮ সালের অক্টোবরের পর যা সবচেয়ে বেশি দামি।
থাই রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপাত্তের বরাত দিয়ে প্রকাশিত বিশ্বের প্রভাবশালী বাণিজ্যিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবাগের্র এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
তাতে উল্লেখ করা হয়, গত বছর চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য এটি। এতে মূল্যস্ফীতির চাপ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। সেই সঙ্গে ক্রেতাদের আমদানি বিল বেড়েছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক থাইল্যান্ড। দেশটিতে এল নিনো আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব পড়েছে। সেখানে তীব্র খরা বিরাজ করছে। সেচ পাম্পের সাহায্যে চাষাবাদ করা হচ্ছে। ফলে যেসব জমিতে কম পানি দরকার, শুধু সেগুলোতেই ধান রোপণে কৃষকদের উৎসাহিত করছে থাই সরকার।
Advertisement
থাইল্যান্ডে এবার স্বাভাবিকের চেয়ে ৪০ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে ঘরবাড়ির জন্য পানি ধরে রাখার চেষ্টা চলছে। তাই ধান রোপণে ভূ-গর্ভস্থ থেকে তা কম ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
অভ্যন্তরীণ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। এতে খাদ্যপণ্যটি ভোক্তা বিভিন্ন দেশে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাজারে ঘাটতির শঙ্কা প্রকট হয়েছে।
এরই মাঝে কৃষ্ণসাগর বন্দর দিয়ে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। তাতে আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে। এ অবস্থায় চালের রপ্তানি কমায় অন্যান্য খাবারের দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]