বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা গণ-আন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেছেন। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই উত্তাল হয়ে ওঠেছে সারাদেশ। এর মধ্যে একদল অতি উৎসাহী জনতা সংখ্যালঘুদের উপর হামলা শুরু করে সাথে ভাঙচুর-তাণ্ডব। এরই মধ্যে গত সোমবার এক হামলার শিকার হয় জলের গানের দলনেতা ও ব্যান্ডের ভোকাল রাহুল আনন্দের বাসা।
এ ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষকে নিন্দা প্রকাশ করতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে নিন্দা প্রকাশ করেন সংগীতশিল্পী শায়ান চৌধুরী অর্ণব।
রাহুলের বাসায় হামলার বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো মর্মাহত এই শিল্পী। একদমই যেন মেনে নিতে পারছেন না।
৬ আগস্ট, মঙ্গলবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে রাহুলের প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, 'এটি অনেক বড় একটি ক্ষতি। মেনে নিতে পারছি না। একেবারেই ভুল! আমরা আপনার সাথে আছি রাহুল। আমরা দুঃখিত।'
অর্ণব আরও লেখেন, 'তারা রাহুলের বাসা পুড়িয়ে দিয়েছে। তার অনেক বাদ্যযন্ত্র ছিল সেখানে। বিস্মিত হচ্ছি, খাল কেটে কোন কুমির আসবে!'
অর্ণবের ওই পোস্টের পর নেটিজেনরা বেশ দুঃখ প্রকাশ করেন। দেশের নতুন স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া খবর, রাহুলের বাড়িতে থাকা সহস্রাধিক যন্ত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগও করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানান জলের গানের সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম।
রাহুল আনন্দের গানের সঙ্গে শোনা যেত অসাধারণ কিছু বাদ্যের সুর। তার গানের নেপথ্যে বাদ্যের যে সুরগুলো শোনা যেত, সেসব বাদ্য রাহুলের নিজ হাতে বানানো। ফলে রাহুলের নিজের বাসাও যেন একটি বাদ্যযন্ত্রের জাদুঘর। সেখানে রয়েছে রাহুলের হাতে বানানো অন্তত শতাধিক বাদ্যযন্ত্র।
রাহুলের বাদ্যযন্ত্র নিয়ে তার অনুরাগীদের আগ্রহ ছিল আকাশছোঁয়া। তাদের অনেকেই হয়ত ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন একটিবারের মত রাহুলের বাদ্যযন্ত্রগুলো দেখে আসার। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোও গেছেন তার বাড়িতে! কিন্তু সে স্বপ্ন হয়ত আর কখনই পূরণ হবে না রাহুলের অনুরাগীদের; কারণ একদল দুর্বৃত্তের হামলায় নিমিষেই শেষ হয়ে যায় রাহুলের দীর্ঘদিনের পরিশ্রম।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]