শিরোনাম
জবির ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের অভিযোগ
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:৪৪
জবির ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের অভিযোগ
জবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের চার বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ‘ইউনিট-২’ মানবিক শাখার ভর্তি পরীক্ষা চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।


শনিবার সকাল ১০.০০ থেকে ১১.৩০ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাস ছাড়াও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে এবং ঢাকা গভঃ মুসলিম হাই স্কুল নিয়ে মোট চারটি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।


সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট অতিবাহিত হলেও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ ভেতরে যাতায়াত করেছে। পরীক্ষা শুরুর আধা ঘন্টা পরেও কয়েকজন অভিভাবককে জবির মুল কেন্দ্রে বসে থাকতে দেখা যায়। অভিভাবকদের সাথে সাথে ছাত্রলীগের নামধারী কিছু শিক্ষার্থীকেও অবাদে বিচরণ করতে দেখা যায়। যদিও ছাত্রলীগ পরিচয় দেয়ার কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি তারা।


এছাড়াও জবি মুল কেন্দ্রে ক্যান্টিনের কর্মচারী ও বিভিন্ন শিক্ষকের গাড়ির চালক পরিচায় দেয়া অগণিত মানুষকে আড্ডা দিতে দেখা যায়। যদিও সাংবাদিকদের পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনের জন্য ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দেয় জবি প্রশাসন।


জবির মুল কেন্দ্রে অবস্থান করা এক অভিভাবক বলেন, আমি মুল কেন্দ্রে প্রধান ফটক দিয়ে পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রবেশ করেছি। তবে শুরুতেই আমাকে ঢুকতে বাধা দিলেও পরে কিছু বলেনি।


কেন্দ্রে প্রবেশ করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যশোর থেকে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় এসেছি। ভাবছিলাম ভেতরে গিয়ে নিরিবিলিতে একটু বসে থাকা যাবে। তবে কিছু পরেই জবি সহকারী প্রক্টর শাহীন মোল্লাহ ও মহিউদ্দীন মাহি এসে সেই অভিভাবক ও সঙ্গে থাকা অপর এক ব্যক্তিকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেন।


জবি মুল কেন্দ্রে অভিভাবক ও ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রের মুল ফটক দিয়ে অবাদে চলাচল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সাথে আসা অন্য অভিভাবকেরা।


এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা স্কুল শিক্ষক কাজী রহমত উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, জবির ভর্তি পরীক্ষায় অভিভাবক ও অনেকের জন্য কি আলাদা টিকিট কেটে প্রবেশ অধিকার নেয়া যায় নাকি? আর যদি নাই থাকবে, তাহলে এভাবে অবাদে ঘোরা ফেরার কারণ কি হতে পারে। আমিও একজন বাবা। আমার মেয়েও পরীক্ষা দিচ্ছে কলেজিয়েট এ। এমন বিশৃঙ্খলা দেখে আমার খুবই সংশয় হয়।


জবির কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদভূক্ত ইউনিট-২ এর পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে দ্বায়িত্বরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও পরীক্ষার্থী ছাড়া কোনো ছাত্র, অভিভাবক প্রবেশ করতে পারবে না।


এ সময় কেন্দ্রের এসব অনিয়মের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, এমন ঘটনা ঘটেনি। আমরা এখন পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোনো খবর পাইনি।


উল্লেখ্য, এবারের লিখিত ভর্তি পরীক্ষার জন্য ৭৮৮টি (৭৭০+১৮) আসনের বিপরীতে ১৪,৫৭১ জন শিক্ষার্থী মনোনীত করা হয়েছিল। এতে আসন প্রতি লড়ছে ১২ জন পরীক্ষার্থী। ভর্তি পরীক্ষার সকল তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে (www.jnu.ac.bd) পাওয়া যাবে।


বিবার্তা/আদনান/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com