শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০১৮, ২২:৩৪
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ‘লণ্ডভণ্ড’ করে দেয়ার আহবান জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দিয়েছে ছাত্রলীগ।


অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তাদের চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে উপাচার্যের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু স্বাক্ষরিত এক স্মারকলিপি দেয়া হয়।


স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম তার ফেসবুকে কটূক্তি করেছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী জামায়াত-শিবির ও বিএনপি’র যৌথ নীল নকশার অংশ হিসেবে শিক্ষক নামধারী জামায়াত-শিবিরের তাবেদার মাইদুল ইসলাম ফেসবুকে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন।


চবি শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে জামায়াত-বিএনপি’র নাশকতার চেষ্টাকে প্রতিহত করে আসলেও মাইদুল ইসলাম ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষার্থীদের উসকিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন।


শিক্ষক মাইদুল বিগত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সময়ে বিশেষ যোগ্যতা কমিয়ে দেয়া বিশেষ সার্কুলারের অধীনে নিয়োগ পান। তার এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ হিসেবে ছাত্রলীগ সমাজতত্ত্ব বিভাগের সভাপতির কাছেও প্রতিবাদ জানিয়েছে।


এতে আরও বলা হয়, শিক্ষক মাইদুলের পাশাপাশি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলী আর রাজী তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। যে পোস্টে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়কে সুকৌশলে সহিংসতার মাধ্যমে ‘লণ্ডভণ্ড’ করে দেয়ার উসকানি প্রদান করেছেন। এই শিক্ষক এক ছাত্রীকে (বর্তমানে ওই বিভাগের শিক্ষক) প্রশ্নপত্র ফাঁস করার দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছর বহিস্কার হয়েছিলেন।


বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি’র নামে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি থাকাকালে লাখ লাখ টাকার কোনো হিসাব তিনি প্রদান করেননি। শিক্ষার্থীদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত নির্যাতন করায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা তার কক্ষে মলমূত্র নিক্ষেপ করে প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হয়েছিলেন।


শুধু তাই নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন তিনি বাম ছাত্র সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে নিয়মিত বিষোদাগার করতেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। বর্তমানে তিনি সরকার পতনে জামায়াত-বিএনপি যে নীল নকশা এঁকেছে, সে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের মূল এজেন্ডা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।


এতে অভিযোগ করা হয়, তিনি ছাত্রদের তার কক্ষে ডেকে নিয়ে গিয়ে নিয়মিত সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক দিক নির্দেশনা প্রদান করছেন। শুধু তাই নয়, বিভাগের সভাপতি থাকাকালে প্রগতিলীল ছাত্রদের শিক্ষাজীবন নষ্ট করলেও শিবির নেতাদের অ্যাটেন্ডেন্স না থাকার পরও তিনি অনৈতিক সুবিধা দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করেছেন।


স্মারকলিপিতে বলা হয়, তিনি দীর্ঘ ১৮-২০ বছর ধরে শিক্ষকতা করলেও এখনো সহকারি অধ্যাপক হিসেবেই আছেন। অথচ তার ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করে বর্তমানে পদোন্নতি পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক হয়েছেন। সম্প্রতি তিনি প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেওয়া জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, কিন্তু একটি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের প্রেক্ষিতে তার জামায়াত-শিবির কানেকশনের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় সে পদে তিনি আর যোগ দিতে পারেননি।


স্মারকলিপিতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি, আওয়ামী লীগ সরকার ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করে তোলার টেন্ডারপ্রাপ্ত এ দুই শিক্ষককে ১৯৭৩ অ্যাক্টে দেয়া উপাচার্যের বিশেষ ক্ষমতা বলে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানানো হয়।


বিবার্তা/জাহেদ/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com