শিরোনাম
বেরোবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগ
প্রকাশ : ২৮ মে ২০১৮, ২২:৪৯
বেরোবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগ
বেরোবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের লঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে তিনি নীলদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।


নীলদলের সভাপতি ড. নিতাই কুমার ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইবনে তাহের দাবি করেন, উপাচার্যের সাথে নীলদলের কয়েকজন 'শিক্ষকের আপগ্রেডেশন কেন আটকে দেয়া হয়েছে' এ কথা জানতে গেলে উপাচার্য তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।


এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. গাজী আনোয়ারুল ইসলাম রানুর অনুরোধে তারা উপাচার্যের সাথে বৈঠকে বসতে রাজি হন।


বৈঠক শুরু হলে সংবাদ সংগ্রহের চেষ্টা করলে সাংবাদিকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বেরোবির প্রক্টর ড. ফরিদুল ইসলাম। এমনকি, বৈঠক শেষে আবারো সংবাদ সংগ্রহের চেষ্টা করলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হয় সাংবাদিকদের।


বৈঠক শেষে নীলদল সভাপতি ড. নিতাই কুমার ঘোষ বলেন, ইতিমধ্যেই আপগ্রেডেশন বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকজন শিক্ষকের প্রমোশন আপগ্রেডেশন হয়েছে। কিন্তু যে সকল শিক্ষকদের প্রমোশন আটকে দেয়া হয়েছে তাদের সবাই নীলদলের সদস্য।


ড. নিতাই বলেন, উপাচার্য শুরুর দিকে কোনো কথা না বলেই ঘাড়ে হাত দিয়ে আল্লাহ হাফেজ বলে তাড়িয়ে দেয়ার যে চেষ্টা করেছিলেন তাকে অনেকটাই ভদ্রভাবে অসৌজন্যতা প্রদর্শন বলে মনে করেন তিনি।


ভুক্তভোগী শিক্ষকদের মধ্যে মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক নুরনবী ইসলাম বলেন, চাকরি গ্রহণের তিন বছরের মধ্যেই প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপকে উন্নীত হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করেছি। তিন বার আবেদন করা হলেও আমাকে প্রমোশন দেয়া হয়নি। এমনকি আবেদনের জন্য এক্সপেরিন্স সার্টিফিকেট ও আমাকে দেয়া হয়নি।


এ ব্যাপারে নীলদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ বলেন, নীলদল শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ছিল। কিন্তু এমন চক্রান্তের স্বীকার হয়ে অনেক শিক্ষক রুজির পথে বাধার ভয়ে নীলদল থেকে চ্যুত হয়েছেন। এটিও এমন ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ।


নীলদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইবনে তাহের বলেন, আপগ্রেডেশন বোর্ডের সিদ্ধান্তানুযায়ী যে সকল শিক্ষকদের প্রমোশন পাওয়ার কথা তাদের মধ্যে যারা নীলদলের সদস্য তাদের প্রমোশন আটকে দেয়া হয়েছে। এমনকি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষিকা নিয়ামুন নাহার উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য ছুটিতে থাকা স্বত্তেও নীল দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তার ছুটি বাতিল করে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।


জানা যায়, প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপকে উন্নীত হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করলেও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক নুরনবী ইসলাম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক চার্লস ডারউইনের প্রমোশন আটকিয়ে দেয়া হয়েছে।


সহকারী থেকে সহযোগী অধ্যাপক হওয়ার শর্ত পূরণ করলেও ড. নিতাই কুমার ঘোষ, ড. আমির শরীফ ও শেখ মাজেদুল হককে প্রমোশন দেয়া হয়নি। কুন্তলা চৌধুরী, মহুয়া শবনম, সুকান্ত কুমার ও সাইফুল ইসলামের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়নি।


এ ব্যাপারে উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার ব্যাপারেই জিরো টলারেন্সে বিশ্বাসী তিনি। তবে শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে এড়িয়ে যান তিনি।


বিবার্তা/জান্নাত/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com